রামমন্দিরই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে এক মন্দির তৈরি হয়েছিল ট্রাস্ট গঠন করে
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কে শনিবার সর্বসম্মত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কে শনিবার সর্বসম্মত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি ভগবান রাম লালার বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ। রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক গঠিত কোনও ট্রাস্টের মধ্যে এ জাতীয় ঐতিহাসিক গুরুত্বের মন্দির নির্মাণের কাজ এটাই প্রথমবার নয়। গুজরাটে সোমনাথ মন্দির নির্মাণ হয়েছে ট্রাস্ট গঠন করে। ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ওই সোমনাথ মন্দির নির্মাণে। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এই মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ মন্দিরটির উদ্বোধন করেছিলেন। এমন কথা জানা যায় যে, মহাত্মা গান্ধী জনসাধারণের কাছ থেকে অনুদানের পাশাপাশি মন্দির তৈরির জন্য সরকারী অর্থ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সোমনাথ মন্দির ট্রাস্ট গুজরাট পাবলিক ট্রাস্ট আইন, ১৯৫০-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি। প্যাটেল জামনগরের মহারাজা দিগ্বিজয় সিংজি ও রঞ্জিতসিংজিকে ট্রাস্টের প্রধান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।
রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ কে এম মুন্সী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এনভি গডগিল, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জয়সুখ লাল হাতী, শিল্পপতি জিডি বিড়লা এবং সদস্য হিসাবে সৌরাষ্ট্রের আঞ্চলিক কমিশনার ডিভি রেগেকে এই ট্রাস্টের বিভিন্ন পদাধিকারী ছিলেন। এর আগে এই ট্রাস্টি বোর্ডে কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল। বিজেপি এখন বোর্ডে আধিপত্য বিস্তার করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ সোমনাথ মন্দির ট্রাস্টের বোর্ড সদস্য। সোমনাথ মন্দির ট্রাস্টে সাত সদস্য রয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সোমনাথ মন্দিরের মতোই ট্রাস্ট গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এই রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য হতে পারেন। অন্যান্য সদস্য কারা হবেন, তাও অচিরেই স্থির হয়ে যাবে। তিনমাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এই ট্রাস্ট গঠন করে মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে।