নোটবন্দি নয় করোনাকালেই জব্দ কালো টাকার কারবারিরা, বলছে সমীক্ষা
নোটবন্দি নয় করোনাকালেই জব্দ কালো টাকার কারবারিরা, বলছে সমীক্ষা
মহামারীর আবহে চূড়ান্ত সমস্যার মুখে বিশ্ব অর্থনীতি। যদিও করোনা আগমনের ফলে একরকম শাপমোচনই হয়েছে ভারতীয় বাজারের। ২০১৬-এর নোটবন্দি যা করতে পারেনি, তাই করে দেখাচ্ছে করোনা, এমনটাই মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষা বলছে, ক্যাশের ব্যবহার ২০১৯-এর তুলনায় কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে ২০২০ সালে।
অনলাইন লেনদেনে কমল কালোটাকার ব্যবহার
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লোক্যালসার্কেলস-এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে, করোনার জেরে ঘরবন্দি মানুষ অনলাইন টাকা লেনদেনের উপর বেশি আস্থা রেখেছেন, ফলে ২০১৯-এর তুলনায় ক্যাশের ব্যবহার কমে অর্ধেক হয়েছে ২০২০-তে। ভারতের প্রায় ৩০০টি জেলার প্রায় ১৫,০০০ মানুষের মতামত নেওয়া হয় এই সমীক্ষায়। সমীক্ষানুযায়ী, ২০১৯-এ রশিদ ছাড়া মাসের ৫০-১০০% খরচ করতেন প্রায় ২৭% মানুষ, কিন্তু মহামারীর আবহে সংখ্যাটা ২০২০-তে নেমে এসেছে ১৪%-এ।
ডিজিট্যাল রশিদের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কমল কালোটাকার রমরমা
লোক্যালসার্কেলস-এর সমীক্ষা বলছে, শুধুমাত্র সংখ্যায় নয়, নানারকম ক্ষেত্রে বেড়েছে ডিজিট্যাল লেনদেনের প্রবণতা। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, শুধুমাত্র মাইনে দেওয়া বা বাইরের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা বেশি পরিমাণে অনলাইনে টাকা মিটিয়েছেন। অন্যদিকে মাত্র ৩% মানুষ বাড়ি ভাড়া ও সম্পত্তি কেনাবেচার জন্য অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করেছেন। এদিকে আবার ৭% মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা ক্যাশ ব্যবহার করেছেন 'ঘুষ' দেওয়ার ক্ষেত্রেই। একইসাথে করোনাকালেই ভারতে ক্রমশ ডিজিট্যাল রশিদ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে বলে মত লোক্যালসার্কেলসের প্রধান শচীন তাপারিয়ার।
আরবিআইয়ের তথ্যও বলছে একই কথা
সম্প্রতি অর্থবর্ষ ২০২০-এর তথ্যপ্রকাশ করেছে আরবিআই। সেই তথ্যানুযায়ী, ডিজিট্যাল লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৪৩৪.৫৬ কোটি টাকা। লোক্যালসার্কেলস বলছে, শুধুমাত্র অক্টোবরে ইউপিআই ব্যবহার করে ২০৭ কোটি টাকার লেনদেন করেছে ভারতবাসী। আরবিআইয়ের তথ্য বকছে, গত পাঁচ বছরে ডিজিট্যাল লেনদেন পরিমাণের নিরিখে এই হার বেড়েছে বছরে ৫৫.১% এবং মূল্যের নিরিখে বেড়েছে প্রায় ১৫.২%।
অনলাইন লেনদেনে কতটা জব্দ কালোটাকা?
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য, এখনও অনেক ক্ষেত্রেই কালোটাকার ব্যবহার সমানভাবে অব্যাহত। যদিও সমস্ত ব্যক্তিসম্পত্তি আধারের সঙ্গে সংযুক্ত করলে এবং সরকারি আধিকারিক সহ তাঁদের পরিবারবর্গের সকল সম্পত্তির হিসাব সরকারের কাছে রাখলে কালটাকার লেনদেন কমানো সম্ভব বলে মত অনেকের। যদিও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেখানে এখনও বহুল পরিমাণে কালোটাকার লেনদেন হচ্ছে সেইসকল ক্ষেত্র এখনও অধরা।
শুভেন্দু বনাম অভিষেক! মমতার তৃণমূলে একুশের আগে ফের বাসা পুরনো রোগের