দেশ জুড়ে বিপাকে উত্তর-পূর্বের ছাত্র ও শ্রমিকরা, করোনা নিয়ে জাতিগত বৈষ্যমের অভিযোগ
দেশে উত্তর পূর্বের মানুষদের আপাতভাবে কোনও জাতিগত বৈষম্যের শিকার না হতে হলেও, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রতি মানুষের সন্দেহ যেন বেড়েছে।
দেশে উত্তর পূর্বের মানুষদের আপাতভাবে কোনও জাতিগত বৈষম্যের শিকার না হতে হলেও, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রতি মানুষের সন্দেহ যেন বেড়েছে। বিশেষভাবে অসুবিধায় পড়ছেন উত্তর পূর্বের পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদেরকে চিনের বাসিন্দা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।
ফেরার টিকিট না পাওয়ায় অগত্যা হস্টেলে
তামিলনাড়ুর
সালেমে
নাগা
স্টুডেন্টস
ইউনিয়নের
প্রেসিডেন্ট
এল
ইয়ান্তসোথুং
লোথা
জানিয়েছেন
সেখানকার
দোকানদাররা
তাঁদের
চাইনিজ
বলেই
ভাবছেন।
এই
ছাত্রনেতা
সালেমের
এক
সরকারি
ইঞ্জিনিয়ারিং
কলেজের
ছাত্র।
কলেজের
তরফে
হস্টেল
বন্ধ
করে
দেওয়া
হলেও
অনেক
বুঝিয়ে
১৯
জন
নাগা
ছাত্রের
জন্য
হস্টেল
খোলা
রাখা
গিয়েছে।
কেননা
রাজ্যের
ফেরার
জন্য
কোনও
টিকিট
পাননি
তাঁরা।
নিজেদেরই
রান্না
করে
খেতে
হচ্ছে।
৩৩
টাকা
কিলো
চালের
দাম
এখন
৬০
টাকায়
পৌঁছে
গিয়েছে।
করোনা বলে কটাক্ষ
দোকানে কোনও জিনিস কিনতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ এইসব ছাত্রদের। তাঁদেরকে করোনা বলে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। এর আগে এক মনিপুরি ছাত্রীকে দিল্লিতে করোনা ভাইরাস বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল।
জাতিগত বৈষ্যমের অভিযোগ
ছাত্রদের অনেকেরই অভিযোগ তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন বাড়ির মালিকরা। ফলে ক্যাম্পাস থেকে বেশ কিছুটা দূরে বাড়ি খুঁজতে হচ্ছে তাঁদের। নাগা ছাত্রদের এক প্রতিনিধিদল চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগও তুলেছেন।
আহমেদাবাদে কোয়ারেন্টাইনে নয় নাগাল্যান্ডবাসী
চাইনিজ বলে সন্দেহ করে আহমেদাবাদে নয় নাগাল্যান্ডবাসীকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ এই নয় জনের করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ ছিল না। কিংবা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে আসারও ইতিহাস নেই।
উত্তর পূর্বের বাসিন্দাদের চাইনিজ বলে সন্দেহ করার প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছে মুম্বই, দিল্লি কিংবা উত্তর প্রদেশে।