মনোনয়ন জমা দিতেই বয়স বিভ্রাট! দাদা তেজপ্রতাপের থেকে 'বড়' তেজস্বী যাদব?
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বুধবার মনোনয়ন জমা দেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। বৈশালীর রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা করেন তিনি। ৩১ বছর বয়সি তেজস্বী যাদবই এবার বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তবে মনোনয়ন জমা দিতেই সামনে আসে বয়স বিভ্রাট।
তেজপ্রতাপের থেকে বড় তেজস্বী?
লালুপ্রসাদের বড় ছেলে বিহার নির্বাচনের জন্য হাসানপুর আসন থেকে লড়াই করার লক্ষ্যে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। মনোনয়ন পত্রে তেজপ্রতাপের বয়স দেখা যায় ৩০ বছর। এদিকে তেজস্বীর জমা করা মনোনয়ন পত্রে উল্লেখিত বয়স ৩১ বছর। আর এর জেরেই তুঙ্গে উঠেছে তরজা।
২০১৫ সালে এই রাঘোপুর কেন্দ্র থেকেই লড়েছিলেন তেজস্বী
২০১৫ সালে এই রাঘোপুর কেন্দ্র থেকেই প্রথমবার লড়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তেজস্বী। তখন তাঁর দল আরজেডির জোটসঙ্গী ছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ। আরজেডি-জেডিইউ জোট ভাঙার পর নীতীশ কুমার এখন এনডিএর অন্যতম বড় শরিক। এবারের নির্বাচনে তেজস্বীর লড়াই বিজেপির সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। এই সতীশ কুমার ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাবড়ি দেবীকে হারিয়েছিলেন।
নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তেজস্বীর সঙ্গে ছিলেন দাদা তেজ প্রতাপ যাদব। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'এবারের ভোটে এনডিএ বিরোধী জোটই সরকার গড়বে।' বিহারের জন্য স্পেশাল স্ট্যাটাস আনতে ব্যর্থ নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করে বলেন, 'বেচারা মুখ্যমন্ত্রী।'
ভোটের ময়দানে নামতে তৈরি তেজস্বী
রাজ্যের ২৪৩ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৪৪ টিতে। তাঁদের জোটশরিক কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে ৭০টি আসন। বাম দলগুলি লড়বে ২৯ আসনে। তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে বিরোধীরা নির্বাচনী অ্যাজেন্ডাও স্থির করে ফেলেছে। রাজ্যে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে সরকারের ব্যর্থতা ভোটারদের সামনে তুলে ধরা ছাড়াও নতুন কৃষি আইন নিয়েও সরকারের কড়া সমালোচনার পথে হাঁটবেন বিরোধীরা।
কেরলের সোনা পাচার মামলায় দাউদ যোগ, আরও অস্বস্তিতে বিজয়নের বাম সরকার