করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে, সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে নয়ডায় বন্ধ হল স্কুল
এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি দিল্লি। রাজধানীর চতুর্দিকে ছড়িয়ে রয়েছে হিংসার চিহ্ন। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের থাবা বসেছে রাজধানীর উপর। ইতিমধ্যেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের সন্ধান মিলেছে দিল্লিতে। এবার সেই ব্যক্তির শন্তানরা যেই স্কুলে পড়ত সেটিকে তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশিকা বেরোতেই আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে আরও কয়েক গুণ। ভয়ের আহবে সেই স্কুলে নিজেদের বাচ্চাদেরকে পাঠাননি অভিভাবকরা। এরপরই আজ থেকে আগামী তিনদিন স্কুল বন্ধের ঘোষণা করা হয়।

বিঘ্নিত পরীক্ষা
স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার যেই পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল তার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে খুব শীঘ্রই। তবে দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা চলবে পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই। তবে এই ছুটির বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া হলে তা সম্ভব হয়নি। সরকারি ভাবে মুখ খুলতে নারাজ সবাই।

চিকিৎসামূলক নজরদারিতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকর্মীরা
এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিয়েনা-দিল্লি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের কর্মীদের বিশেষ চিকিৎসামূলক নজরদারিতে রাখার জন্যে আপাতত ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিন ওই বিমান সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই বিমানে করেই দিল্লির করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি দেশে ফেরেন। তাই আপাতত আগামী ১৪ দিন ওই বিমানকর্মীদের ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হবে। তবে ওই বিমানের অন্যান্য যাত্রীদেরও এই জাতীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।

দক্ষিণ ভারতেও করোনা আতঙ্ক
এদিকে শুধু দিল্লি নয়, করোনা ভাইরাস ক্রমশ ছড়াচ্ছে দেশের অন্য প্রান্তেও। কিছুদিন আগে বেঙ্গালুরুর এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে ওই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। বর্তমানে তিনি হায়দরাবাদের এক হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে তিনি সম্প্রতি দুবাই থেকে এদেশে ফিরে এসেছেন। আক্রান্ত ওই ইঞ্জিনিয়ারের সান্নিধ্যে আসা সমস্ত মানুষজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত তিন হাজারেরও বেশি
করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে শুধু মাত্র চিনেই মারা গিয়েছে ২৯০০ জন। আক্রান্ত ৮৮০০০। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর পরেই একাধিক দেশে মার্কিনিদের সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইরানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।