কাউকেই হত্যা করা হয়নি, সবাই মারা গিয়েছেন! ৭ জনের তালিকা প্রকাশ করলেন রাহুল
সোহরাবুদ্দিন শেখ হত্যা কাণ্ডে মুম্বইয়ের আদালত রায় জানানোর পরেই কার্যত কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবেসোহরাবুদ্দিন হত্যাতাণ্ডে ২২ জন অভিযুক্তকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।
সোহরাবুদ্দিন শেখ হত্যা কাণ্ডে মুম্বইয়ের আদালত রায় জানানোর পরেই কার্যত কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সোহরাবুদ্দিন হত্যাতাণ্ডে ২২ জন অভিযুক্তকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরে রাহুল গান্ধী সাতজনের নাম দিয়ে টুইট করেন, এঁদেরকে কেউ মারেনি। সাধারণ মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
সোহরাবুদ্দিন শেখ- হ সাতজনের নামের তালিকায় বাকিরা হলেন, হরেন পান্ডিয়া, তুলসীরাম প্রজাপতি, বিচারক লয়া, প্রকাশ তমব্রে, কৌশের বি। হরেন পান্ডিয়া ছিলেন গুজরাতের বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
NO ONE KILLED...
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 22, 2018
Haren Pandya.
Tulsiram Prajapati.
Justice Loya.
Prakash Thombre.
Shrikant Khandalkar.
Kauser Bi.
Sohrabuddin Shiekh.
THEY JUST DIED.
সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলা অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃষ্টি আকর্ষণী ছিল। কেননা সেই হত্যাকাণ্ডের সময় গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন বর্তমানে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। তাঁকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তাঁকে এই অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হয়।
সিবিআই তাদের তদন্তে বলেছিল, ২০০৫-এর ২২ নভেম্বর সোহরাবুদ্দিন শেখ, তাঁর স্ত্রী কৌসর বি, বন্ধু তুলসীরাম প্রজাপতিকে গুজরাত পুলিশ হত্যা করেছিল। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সিবিআই।
সোহরাবুদ্দিন শেখকে গুলি করে মেরেছিল আহমেদাবাদ পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল লস্কর-ই তৈবা। তাদের হয়ে কাজ করত সোহরাবুদ্দিন।
সিবিআই জানিয়েছিল সোহরাবুদ্দিনের স্ত্রী কৌসর বিকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণের পর ২৯ নভেম্বর হত্যা করা হয়েছিল। সোহরাবুদ্দিনের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী তুলসীরাম প্রজাপতিকে প্রায় একবছর পরে ২০০৬-এর ২৭ নভেম্বর গুলি করে মারা হয়েছিল গুজরাত ও রাজস্থান সীমান্তে।