বাদল অধিবেশনেই অগ্নিপরীক্ষা বিজেপির! ১৫ বছরে প্রথম এমন সিদ্ধান্ত স্পিকারের
শুক্রবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে লোকসভায়।
শুক্রবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে লোকসভায়। স্পিকার সুমিত্রা মহাজন জানিয়েছেন, কংগ্রেস, তেলেগু দেশম পার্টি এবং শারদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে শুক্রবার।
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা হবে সোমবার। এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী।
তবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সরকারি দল বিজেপি। সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, মোদী সরকারের প্রতি বিরোধীদের বিশ্বাস না থাকতে পারে, কিন্তু দেশের মানুষের পুরো বিশ্বাস মোদী সরকারের ওপর রয়েছে।
এনডিএ-র প্রাক্তন শরিক টিডিপির তরফে মঙ্গলবার অনাস্থার নোটিশ দেওয়া হয়। এই অনাস্থা প্রস্তাবে ১২ টি দল সামিল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৫০ জনের বেশি বিরোধী সাংসদ অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। নিয়মে আছে স্পিকার প্রস্তাব আনার ১০ দিনের মধ্যে তা আলোচনার জন্য দিন ঘোষণা করবেন। এক্ষেত্রে শুক্রবার আলোচনার জন্য ধার্য করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অনাস্থা প্রস্তাব বিজেপি সরকারের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। কেননা লোকসভায় বিজেপির একারই সদস্য সংখ্যা ২৭৩ জন। যা লোকসভার সদস্য সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। সঙ্গে রয়েছে সহযোগীদের সমর্থন।
তবে এই অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে বিরোধীরা দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাদের দিক নির্দেশ করতে পারবে বলে অনুমান। একইসঙ্গে কোনও দিকেই না থাকা বিজু জনতাদলের মতো দল নিজেদের পক্ষ বেছে নিতে পারবে। বিরোধীদের হাতে সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও ২০০৩ সালে সনিয়া গান্ধী তৎকালীন অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।
সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর আগে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের কাছে অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালানোর আবেদন জানান। সরকার সব ধরনের আলোচনায় তৈরি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
নতুন সদস্যদের শপথ গ্রহণ করার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু দেশম সদস্যরা রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
শুধু বাদল অধিবেশনেই নয়, তেলেগু দেশম বাজেট অধিবেশনেও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থার নোটিশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিশ গৃহীতই হয়নি। স্পিকার লোকসভার ভিতরে ডেকোরামের ওপর জোর দিয়েছিলেন। কেননা এআইএডিএমকে এবং টিআরএস একটানা তাদের স্লোগান চালিয়ে গিয়েছিল।
কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খার্গে জানিয়েছেন, লোকসভায় আলোচনার জন্য তালিকাটা বেশ বড়। তার মধ্যে রয়েছে, গণপ্রহার, মহিলাদের সুরক্ষা, জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমান অবস্থা, দলিত আইন-সহ একাধিক বিষয়।
লোকসভার বাজেট অধিবেশনে ১৮ বছরের মধ্যে সব থেকে কম কাজ হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ২১ শতাংশ কাজ হয়েছিল। অন্যদিকে রাজ্যসভায় কাজ হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের ২৭ শতাংশ।