তদন্তে নয়া তথ্য, ইজরায়েল দূতাবাস বিস্ফোরণ ও আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডের মধ্যে কোনও যোগ নেই
ইজরায়েল দূতাবাস বিস্ফোরণ ও আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ড
মুকেশ আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে নতুন এক তথ্য সামনে এসেছে। মহারাষ্ট্রের জঙ্গি–দমন শাখা জানিয়েছে যে ২৯ জানুয়ারি দিল্লির ইজরায়েলের দূতাবাসে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইতে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক–ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের কোনও যোগ নেই। যদিও এই দু’টি ঘটনার দায় স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করেছে জৈশ–উল–হিন্দ। তবে এজেন্সি জানিয়েছে যে এই দুই ঘটনার সঙ্গে কোনও প্রযুক্তিগত যোগ নেই।
যোগ নেই দুই ঘটনার সঙ্গে
প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে মুম্বইয়ের এই ঘটনায় দায় নেয় জৈশ-উল-হিন্দ। মুম্বইয়ের এই ঘটনার সঙ্গে ইজরায়েল দূতাবাসের বাইরে আইইডি বিস্ফোরণের কোনও যোগসূত্র নেই।' তদন্তকারীরা তদন্ত করে দেখেছেন যে যে ফোন নম্বর থেকে মুম্বইয়ের ঘটনার সম্পর্কে মেসেজ এসেছে সেটি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঘঙ্গি তেহসিন আখতারের, যে বর্তমানে উচ্চ-নিরাপত্তা সহকারে তিহার জেলে বন্দি রয়েছে।
আইএম কি তবে সক্রিয় হয়ে উঠছে
তবে একজন কুখ্যাত জিহাদি কীভাবে তিহার জেলে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জঙ্গি-দমন শাখা এ বিষয়ে যদিও খুব নিশ্চিত যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ ও ইকবাল ভাটকল করাচিতে সক্রিয় থাকলেও এই গোষ্ঠী পুনরায় মাথা তুলতে সক্ষম হবে না। যদিও এই জঙ্গি গোষ্ঠীর আর এক প্রতিষ্ঠাতা আমির রেজা খান মৃত নাকি জীবিত তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি তবে তাকে ২ বছর আগে শেষবারের মতো করাচিতে দেখা গিয়েছিল।
তেহসিন আখতার ও আইএম
আইএমের রাঁচির দায়িত্বে ছিল তেহসিন আখতার। ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর নির্বাচনী জনসভা চলাকালীন হামলার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়। জঙ্গি-দমন শাখার মতে, মুম্বইয়ে আম্বানির ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত এবং ইজরায়েল দূতাবাসে বিস্ফোরণ কাণ্ডে সিরিয়া ও আফগানিস্তান যোগ রয়েছে। এমনকী এই ঘটনার ক্ষেত্রে জৈশ-উল-হিন্দ গোষ্ঠী ইসলামপন্থীদের সঙ্গে মিশে কখনও জুনাদাল্লা বা আনসার-উল-হিন্দ নাম বদল করে তদন্তে বাধার সৃষ্টি করছে।
আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এই ঘটনা
এজেন্সি জানিয়েছে, ইজরায়েল দূতাবাসের বাইরে দূর থেকে আইইডি বিস্ফোরণকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল আর মুম্বইয়ে আম্বাইর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার এসইউভি গাড়ির ভেতর থেকে কোনও ডিটোনেটর উদ্ধার হয়নি। এর অর্থ হল আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে আইএম জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোনও স্থানীয় দুষ্কৃতি চক্র মুম্বইতে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
কালীঘাটে পুজো দিয়ে জেতার প্রার্থনা শোভনদেবের