লকডাউন আওতাধীন এলাকায় মানুষের চলাচলের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, রাজ্যকে জানাল কেন্দ্র
লকডাউন আওতাধীন এলাকায় মানুষের চলাচলের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই
দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভে সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে যে সব এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে সেখানে আন্তঃরাজ্য, আন্তঃজেলায় মানুষের গতিবিধি এবং পণ্য যানের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না। শুক্রবারও দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২ লক্ষের বেশি সনাক্ত হয়েছে এবং বেশ কিছু রাজ্যে আংশিক–পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে।
অক্সিজেন সরবরাহ গোটা দেশে
স্বাস্থ্যসেবার পরিকাঠামোর অবনতি এবং বিভিন্ন জিনিসের অভাবের সম্মুখীন রাজ্যগুলি সহ, স্বরাষ্ট্র সচিব দেশের মারাত্মক মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য সারা দেশে মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়কে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ভেন্টিলেটর দিয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সাতদিনের গড় কেস রেকর্ড দেখার পর বোঝা গিয়েছে যে ছত্তিশগড়ে নতুন কোভিড-১৯ কেসের ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ। রায়পুর, দুর্গ, রাজনন্দগাঁও ও বিলসপুর সহ ছত্তিসগড়ের মোট ২২ টি জেলা গত ৩০ দিনে তাদের রিপোর্ট করা সর্বাধিক কেস পেরিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে দৈনিক নতুন কেসের ক্ষেত্রে ১৯.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং রাজ্যের ৪৬ টি জেলায় গত ৩০ দিনের মধ্যে কোভিড কেস সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
১২টি রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি
অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে এমন ১২টি রাজ্যকে কেন্দ্র অক্সিজেন সরবরাহ করবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে কোভিড-১৯ উৎসর্গীকৃত বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথা রাজ্যগুলিকে বলা হয় এবং হাসপাতাল চত্ত্বরের অন্য ভবনগুলিকে কোভিড কেয়ার ওয়ার্ডে পরিণত করে সেখানে রোগাদের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরনা রোগী সনাক্ত
সরকার উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড রোগী সনাক্তকরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। 'টেস্ট-ট্র্যাক-কোভিড যথাযথ আচরণ-টিকাকরণ' এই পাঁচটি কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে কেন্দ্র এই দুই রাজ্যকে স্বেচ্ছাসেবক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্সদের নিয়োগ করতে বলেছে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষমতা বাড়ে এবং তাঁরা যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের সনাক্ত করতে পারে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ এই তিন রাজ্যে এক লক্ষের বেশি সক্রিয় করোনা কেস রয়েছ।
উত্তরপ্রদেশে হ্রাস পেয়েছে টেস্ট
উত্তরপ্রদেশের লখনউ, কানপুর, বারাণসী ও প্রয়াগরাজ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। যদিও ১৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল আরটি-পিসিআর টেস্ট হ্রাস পেয়েছে ৪৬ শতাংশ এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩ শতাংশ।
করোনা কাড়ল আরও এক প্রার্থীর প্রাণ, রেজাউলের পর হার মানলেন আরএসপির প্রদীপ