
হিন্দি না বললে রিফান্ড নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড়! চাপের মুখে ক্ষমা চাইল জোমাটো
কখন ডেলেভারী বয়ের দুর্ব্যবহার তো কখনও এজেন্টদের বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ। বারেবারেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোমাটো(Zomato)। এমতাবস্থায় এবার ক্রেতার সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠল জোমাটো এজেন্টের বিরুদ্ধে। এমনকী হিন্দি না জানলে ক্রেতার অভিযোগের কোনও সুরাহা হবে না বলেও জানান ওই জোমাটো এজেন্ট। এদিকে এই খবর ভাইরাল হতেই চাপে পড়েছে ভারতের এই বৃহত্তম অনলাইন খাবার ডেলিভারী সংস্থাটি।

আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
সূত্রের খবর, ডেলিভারী ও খাবার সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে সম্প্রতি জোমাটোর কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানান তামিলনাড়ুর এক ব্যক্তি। কিন্তু জোমাটো এজেন্টের তরফে জানানো হয় ওই ব্যক্তি যেহেতু হিন্দিতে কথা বলতে পারছেন না তাই রিফান্ড মিলবে না। এদিকে রীতিমতো অপমানজনক মন্তব্য করায় সংস্থাটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিকাশ নামের ওই যুবক।

চাপে জোমাটো
এমনকী টুইটার পোস্ট করেও গোটা ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। সেখানেই বিকাশ লেখেন, "সম্প্রতি জোমাটো থেকে খাবার অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু ডেলিভারির পর দেখতে পাই যে খাবারগুলি অর্ডার দিয়েছিলাম তার মধ্যে একটি ডিশ নেই।" এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তার সঙ্গে দুর্বব্যহার করা হয় জোমাটো এজেন্টের তরফে।এমনকী স্পষ্ট জানানো হয় হিন্দিতে কথা না বলতে পারলে তাঁর অভিযোগের কোনও সুরাহাই হবে না।

হিন্দি আগ্রাসন বন্ধ হোক, ট্রেন্ড টুইটারে
চেন্নাইয়ের ওই গ্রাহক তাঁর সঙ্গে জোমাটো এজেন্টের কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করতেই শুরু হয় হইচই। শোরগোল পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়। জোমাটোর এই নক্কারজনক আচরণের সমালোচনায় সরব হন অনেকেই। এমনকী বয়কট জোমাটোর ডাকও ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইসঙ্গে #stopHindiImposition #HindiIsNotNationalLanguage টেন্ডও হতে থাকে টুইটারে। আর তাতেই চাপে পড়ে এই বিশ্বখ্যাত অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাটি।

ক্ষমা চাওয়া হয় জোমাটোর তরফে
পরবর্তীতে চাপের মুখে পড়ে ক্ষমাও চাওয়া হয় জোমাটোর তরফে। এমনকী আগামীতে যাতে আরও কারও সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে তা খেয়াল রাখা হবে বলেও জানানো হয়। দেওয়া হয় লিখিত বিবৃতি। এদিকে জোমাটোর বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ এই নতুন নয়। অনেক অভিযোগই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল না হওয়ায় সমাধান হয় না আসল সমস্যার। এদিকে অনলাইন ডেলিভারি সংক্রান্ত যথোপোযুক্ত আইন না থাকায় অনেক সংস্থাই আজও পার পেয়ে যায়।