১৯-এই নির্বাচন হরিয়ানায়, কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে ব্রাত্য রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০১৯-এর শেষের দিকেই অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুদা।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০১৯-এর শেষের দিকেই অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুদা। এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আর এই প্রচারে আশ্চর্যজনকভাবে ব্রাত্য থেকেছে গান্ধী পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রচারে স্থান পাননি রাহুল-প্রিয়াঙ্কা বা সোনিয়া কেউই।
সমাবেশের একটি পোস্টার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কেবল দুটি ছবি ছিল। তা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুদা এবং তাঁর পুত্র দীপেন্দ্র সিং হুদা। কিন্তু হরিয়ানা কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের নাম এবং খ্যাতির ব্যবহার না করেই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
ভূপিন্দর সিং হুদা পোস্টারটি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস হরিয়ানাকে একটি ভালো ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই কারণেই বিধানসভা নির্বাচনে আমরা জনগণকে একটি বিকল্প সরকার দিতে চাই। রাজ্যে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে এবং এটাকে সামনে রেখে আমরা ৪ আগস্ট পরিবর্তন কার্যকর্তা সম্মেলনের আয়োজন করেছি। ১৮ আগস্ট মেগা র্যারলি অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে হরিয়ানায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৯০ আসনের বিধানসভায় ৪৭টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। অভয় সিং চৌতালার নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল (আইএনএলডি) ১৮টি আসন জয়ী হয়। কংগ্রেস পায় ১৭টি আসন। বিজেপির মনোহর লাল খট্টরকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করা হয়।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় ১০টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসন জিততে পেরেছিল কংগ্রেস। বিজেপি সাতটি আসনে জয়ী হয়েছিল। আইএনএলডি দুটি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৯-এ কংগ্রেস একটি আসনেও জয় পায়নি। ১০-এ ১০ পেয়ে ক্লিনসুইপ করেছে বিজেপি।