অনড় তেজস্বী, নীতীশের অবস্থানে মহাজোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা
পদত্যাগ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব, আরজেডির সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার খুব বেশি কারণ দেখছেন না নীতীশ কুমার।
কোনও অবস্থাতেই পদত্যাগ করবেন না তিনি। বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। মঙ্গলবারই দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর নীতীশ কুমার একপ্রকার স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর আশা তেজস্বী নিজেই পদত্যাগ করবেন। কিন্তু বুধবার তেজস্বী জানিয়ে দিলেন তিনি পদত্যাগ করবেন না। এমনকী বিজেপিই চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি। তেজস্বীর এই বক্তব্যের পর লালু- নীতীশ সম্পর্ক সম্ভবত তিক্ততার পথেই যাচ্ছে। নীতীশও ঘনিষ্ঠমহলে সাফ জানিয়েছেন, আরজেডি-র সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার খুব বেশি কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।
দুর্নীতি দমন আইনে সিবিআই তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরই নীতীশ তাঁর পদত্যাগ চেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। অবশ্য জেডিইউ-র পক্ষ থেকে তখন কোনও মন্তব্যই করা হয়নি। এরপরই তেজস্বীর ভবিষ্যত নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসে আরজেডি। বৈঠকের পরই আরজেডি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তেজস্বী পদত্যাগ করবেন না। কিন্তু মঙ্গলবার জেডিইউ-র বৈঠকে নীতীশ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, মন্ত্রিসভায় কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠকের পরও জেডিইউ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, তেজস্বী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন না আশা রাখে নীতীশ কুমারের সরকার। সেইসঙ্গে তেজস্বীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চারদিনের সময়ও দেওয়া হয়েছে আরজেডি। একথা বলে বকলমে নীতীশ বুঝিয়েই দিলেন, তিনি তেজস্বীকে পদত্যাগ করারই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু বুধবার তেজস্বীর বক্তব্যের পর নীতীশ কুমার যে খুব একটা খুশি হবেন না তা বলাই বাহুল্য। তেজস্বী অবশ্য দাবি করছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তে মহাজোটের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু তা আদৌ হবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তেজস্বী বিজেপির দিকে আঙুল তুলছেন, কিন্তু নীতীশও যে জোট টিকিয়ে রাখতে খুব একটা আগ্রহী নন, তা বোঝাই যাচ্ছে। এখন চারদিনের সময়সীমা শেষে কী হয় সেটাই দেখার।