রাজনৈতিক চাপে কো-ভ্যাক্সিনের অনুমতি, দাবি নস্যাৎ করল কেন্দ্র
রাজনৈতিক চাপে কো-ভ্যাক্সিনের অনুমতি, দাবি নস্যাৎ করল কেন্দ্র
কেন্দ্র বলেছে যে রাজনৈতিক চাপের জন্য কো-ভ্যাক্সিনকে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই যে কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে এটা সম্পূর্ণভাবেই ভুল পথে চালিত করার জন্য এমন কথা বলা হয়েছে। এটা একেবারেই সত্য নয়। এই কথা মিথ্যায় ভরা।
কেন্দ্র কি বলছে?
কেন্দ্র বলেছে যে, আগে বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে কাজ করেছেন। তারপর সেটা নিয়ে টেস্ট হয় আলাদা করে। তারপর সেটা সবরকম টেস্ট পাস করার পর এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোনওরকম রাজনৈতিক চাপ নেই। এটা দরকার ছিল। এবং দরকার ছিল জরুরি ভিত্তিতে। মানুষের উপকারের জন্য এইটা দরকার ছিল। সব কিছু পরীক্ষা মিটতেই এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
কী বলছে ভারত বায়োটেক ?
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভ্যাক্সিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক বলেছে যে, "আমরা কিছু নির্বাচিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী কো ভ্যাকসিনের অনুমতি নিয়ে কিছু ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এত আমরা নিন্দা করছি। যারা এমন কথা বলছেন তাঁদের ভ্যাক্সিন এবং ভ্যাক্সিনলজি নিয়ে কোনপ পড়াশোনা ধারণা নেই। এটাও ঘটনা যে মহামারি জুড়ে নানারকম ভুলভাল খবর ছড়ানো হয়েছে। নানা ভুল খবর সত্যি বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে" । তারা বলছেন এই বিষয়টা এমনই কিছু।
ক্ষুব্ধ ভারত বায়োটেক
সংস্থা এও বলেছে যে, যারা এই কথা বলছে তাঁরা জানেন না বিশ্বে পণ্যের জন্য একটা লাইসেন্স লাগে। সেটা পাওয়া এত সহজ ব্যপার নয়। কেউ বলে কিছু করা যায় না। কো-ভ্যাক্সিনকে বাজারে চালানোর জন্য কোনপ চাপ দেওয়া হয়নি। সমস্ত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর নিয়ম মেনে এটা মানুষের স্বার্থে বাজারে অনুমোদন পায়।
কো-ভ্যাক্সিন
কো-ভ্যাক্সিন হল প্রথম ভ্যাক্সিন যা বাজারে আসে। তারপড়ে বাজারে আসে কোভিশিল্ড। দুই ভ্যাকসিনের ডোজই ভারতের মানুষ এই করোনা থেকে রক্ষা পাবার জন্য নিয়েছেন। প্রথম দ্বিতীয় ডোজ যে যেটা নিয়েছেন তার ডোজই নেন, কিন্তু তৃতীয় ডোজে সেটা হয়নি। কো ভ্যাক্সিন ভারত বায়োটেক তৈরি করে এবং এটা ছিল ভারতের ভ্যাক্সিন নিয়ে আত্ম নির্ভরতার আরও এক ধাপ। ভারতের বাইরেও এই ভ্যাক্সিন পাঠায় ভারত সরকার। এই ভ্যাক্সিন বাইরে দেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়।
আর করোনার দিক থেকে দেখতে গেলে দেশে করোনার প্রভাব আর নেই বললেই চলে। হলেও তা সরদি, কাশির আকারে হয়ে গিয়েছে,। বিজ্ঞানীরা বলেইছিলেন এর এত সেল মিউটেশন হচ্ছে মানেই এর প্রভাব কমবে। সেটাই হয়েছে। বহু ঢেউ পেরিয়ে বহু মানুষের প্রান নিয়ে করোনা এখন শান্ত। আর তাঁকে সুরক্ষা দিয়েছে অন্যতম ভ্যাক্সিন কো-ভ্যাক্সিন