কেউ যেন অভুক্ত না থাকে দেশে, মোদীকে দু’টি পরামর্শ লিখে চিঠি দিলেন সোনিয়া গান্ধী
কেউ যেন অভুক্ত না থাকে দেশে, মোদীকে দু’টি পরামর্শ লিখে চিঠি দিলেন সোনিয়া গান্ধী
একদিকে করোনা ভাইরাসের ত্রাস, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক বেহাল দশা। দুই মিলিয়ে জর্জরিত ভারত। এরকম পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কংগ্রেস অন্তর্বতীকালিন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী করোনা সঙ্কট মোকাবিলার জন্য মোদীকে দু’টি পরামর্শ দিয়ে চিঠি লিখলেন। চিঠিতে 'খাদ্য অসুরক্ষা’ প্রসঙ্গে সোনিয়া লিখেছেন, কারও ক্ষুধার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়।
প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী
সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে লিখেছেন, ‘২০২০ সালের এপ্রিল-জুন মাসে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার অধীন মানুষের অধিকারের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫ কেজি করে শস্য দেওয়ার আপনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যাইহোক, লকডাউনের বিরূপ প্রভাব এবং এর জনজীবনের জীবিকার ওপর এর দীর্ঘায়িত প্রভাব দেখে, আমি আপনাকে কয়েকটি পরামর্শ বিবেচনা করার জন্য লিখছি।'
সোনিয়ার প্রথম পরামর্শ
সোনিয়া গান্ধী চিঠিতে প্রথম পরামর্শ হিসাবে জানান, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার অধীন সুবিধাভোগীদের জন্য প্রত্যেকজনকে ১০ কেজি করে শস্য দেওয়ার মেয়াদ আরও তিনমাস বাড়িয়ে দেওয়া হোক, অর্থাৎ এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘এই সুবিধাভোগীদের দ্বারা দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়ে, খাদ্য অধিকারগুলি বিনামূল্যে সরবরাহ করা যেতে পারে।'
সোনিয়ার দ্বিতীয় পরামর্শ
কংগ্রেস সুপ্রিমোর দ্বিতীয় পরামর্শ হলো, যাঁদের রেশন কার্ড নেই এবং যাঁরা খাদ্য অসুরক্ষাতে রয়েছে তাঁদের জন্য ছ'মাস মেয়াদ বাড়িয়ে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে শস্য দেওয়া হোক। তিনি বলেন, ‘আমি আপনার নজরে আনতে চাই যে সমস্ত অভিবাসী শ্রমিক যাঁরা তীব্র সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার রেশন কার্ড হয়তো নেই। এছাড়াও, অনেক যোগ্য লোককে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।' তিনি জানান, এই পদক্ষেপগুলি খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে জনগণের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এর মাধ্যমে এটা বলতে চেয়েছেন যে দেশে যেন কেউ অভুক্ত না থাকে। এর আগেও পাঁচটি আর্থিক সাশ্রয়কর পরামর্শ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।