মহিলাদের জন্য নাইট শিফ্ট নয়, ওদের প্রয়োজন বাড়িতে, মন্তব্য় কর্ণাটক বিধায়কদের
মহিলাদের নাইট শিফ্ট থেকে রেহাই দেওযা উচিৎ। ওদের বাড়িতে বেশি প্রয়োজন। কর্ণাটকের বিধায়কদের এহেন প্রস্তাবে মহিলা কর্মচারি ও সমাজকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভর সঞ্চার হয়েছে।
বেঙ্গালুরু, ৩০ মার্চ : মহিলাদের নাইট শিফ্ট থেকে রেহাই দেওযা উচিৎ। সংস্থার তরফে যতদুর সম্ভব রাতে ফোন করে মহিলা কর্মীদের কাজ করতে না বলা উচিৎ। ওদের বাড়িতে বেশি প্রয়োজন। কর্ণাটকের বিধায়কদের এহেন প্রস্তাবে মহিলা কর্মচারি ও সমাজকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভর সঞ্চার হয়েছে। তাদের দাবি, এই প্রস্তাব পশ্চাদগামী এবং এই প্রস্তাব গৃহীত হলে কর্মস্থানে মহিলাদের স্থান ক্ষুণ্ণ হবে।
শুধু তাই নয়, সমালোচকরা আরও একটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আর তা হল, মহিলাদের মাতৃত্বাকালীন ছুটির সময়সীমা বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করায় মহিলা কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে।
কমিটির চেয়ারম্যান এনএ হরিশের দাবি, "অন্যদের তুলনায় মহিলাদের বিশাল পরিমাণ সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মকে মানুষ করা এবং মাতৃত্বের দায়িত্বভার রয়েছে তাঁর কাঁধে। যদি মহিলারা রাতে কাজ করেন, তাহলে তাদের সন্তান অবহেলিত হতে পারে। পুরুষরা মহিলাদের সহায়তা করতে পারেন কিন্তু কখনই সন্তানের মা হয়ে উঠতে পারে না।"
কমিটির দাবি, "সামাজির দায়িত্বের পাশাপাশি নারী নিরপত্তার দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ হিসাবে আমাদের মহিলাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার দায় আমাদের।"
এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে মহিলা কর্মচারিদের একটা বড় অংশেরই দাবি, আজ এই প্রস্তাব গৃহীত হলে কাল বলা হতে পারে মহিলাদের বাচ্চা মানুষ করার জন্য বাড়িতেই থাকা উচিৎ। এটা বিধায়কদের দেখার বিষয় নয়। এতে সামন্তবাদী ও পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতারই পরিচয় পাওয়া যায়, আধুনিক সমাজে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
মহিলাদের সুরক্ষা সরকারের মাথাব্যাথা হওয়া উচিৎ বিধায়ক কমিটি সে বিষয়ে আদৌ কি মাথা ঘামানো উচিৎ তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
বেঙ্গালুরুতে এই মুহূর্তে ১৫ লক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মধ্যে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা ৫ লক্ষ। এই ধরণের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সংস্থাগুলি মহিলা কর্মীদের নিয়োগ করার আগে দুবার ভাববে। এবং সম্ভবত মহিলা কর্মীদের নিয়োগে এই ধরণের প্রস্তাব অবশ্যই বাধা সৃষ্টি করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।