প্রধানমন্ত্রীর ব্ল্যাকআউটের আবেদন নিয়ে নতুন স্পষ্টীকরণ! কী বলল কেন্দ্র?
জনতা কার্ফুর পর ফের একবার দেশবাসীর কাছে সময় চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ৫ এপ্রিল জেশবাসীর কাছে করোনা লড়াইয়ে ৯ মিনিট সময় চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে আগের বারের মতো বিকালের বদলে এবার তিনি সময় চাইলেন রাতের বেলা।
প্রধানমন্ত্রীর আলো নেভানোর আবেদন
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, '৫ এপ্রিল রবিবার রাত ৯ টায় সকলের ৯ মিনিট চাইছি। ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ঘরের সমস্ত লাইট জ্বালিয়ে ঘরের বাইরে , বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘরের লাইট বন্ধ রাখুন। মোমবাতি, বা মোবাইলের লাইট জ্বালান। এই আলোর উজ্জ্বলতায় করোনার অন্ধকার দূর হবে। এই আলোর আয়োজনের সময় , রাস্তায় বা পাড়ায় যেন কেউ না বের হন। নিজের ঘরের ব্যালকনি থেকেই এই আলো জ্বালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।'
নতুন ভাবে স্পষ্ট করা হল ব্ল্যাকআউটের অবেদন
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের মধ্যে আলো ছাড়া অন্য কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধের কথা নেই বলে স্পষ্ট করা হল কেন্দ্রের তরফে। আগামিকাল, অর্থাৎ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানাল সরকার। ৯ মিনিটের জন্য মোমবাতি, প্রদীপের আলো জ্বালানোর সময় কম্পিউটার, ফ্যান, এসি বন্ধ করার দরকার নেই বলে স্পষ্ট করল সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
প্রধানমন্ত্রীর বল্যাকআউটের এই ঘোষণার পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে বিদ্যুত মন্ত্রক। বিদ্যুতমন্ত্রী আরকে সিং ও পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা এই বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকেই মন্ত্রী ও কর্তারা আলোচনা করেন যে প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের জেরে কী প্রভাব পড়বে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে।
লকডাউনের জেরে ক্ষতি
জানা গিয়েছে, লকডাউনের জেরে কলকারাখানা বন্ধ। ফলে এমনিতেই চাহিদা তলানিতে। এর ওপর যদি সবাই আলো বন্ধ করে দেন তাহলে গ্রিডের ওপর মারাত্মক চাপ পড়বে, এই নিয়েই উদ্বেগ। বাণিজ্যিক কাজ কর্মের অভাবে এই মুহূর্তে চাহিদা প্রায় ৩০ শতাংশ কম। এর ওপরে অত দ্রুত চাহিদার চড়াই-উতরাই নিয়ে চিন্তা।
যে কারণে এই স্পষ্টীকরণ
আসলে নটার সময় সবাই যদি আলো নিভিয়ে দেয় ও তারপর নটা দশ নাগাদ আবার চালু করে তাহলে অল্প সময়ের মধ্য ১০-১৫ গিগাওয়াট লোড কমে গিয়ে আবার ফিরে আসবে। আর এই পরিস্থিতিতে সব স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে হাইড্রো ও গ্যাস পাওয়ারের ব্যাকআপ। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছেল এই সব ব্যবস্থাই রাখা হবে। তবে এত সমস্যা তৈরি হতে পারে বুঝেই শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।