পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আর রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, নয়া নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আর রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, নয়া নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
করোনা লকডাউনের মধ্যে শ্রমিক ট্রেন চালানো নিয়ে চরম রাজনৈতিক মতবিরোধ তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। এই পরিস্থিতিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা লকডাউনের মধ্য শ্রমিকদের নিয়ে কোথায় কতগুলো শ্রমিক ট্রেন চালানো হবে তার জন্য এবার আর রাজ্যগুলির দ্বারস্থ হতে হবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকই তা ঠিক করে দেবে।
পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেন নিয়ে সিদ্ধান্ত
পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেন চালানো নিয়ে এবার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নতুন নির্দেশিকা জারি করে একথা জানানো হয়েছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। রেল মন্ত্রক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে। কাজেই এবার রাজ্যগুলির এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রইল না। এতে কম জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিযায়ী শ্রমিক ফেরাতে উদ্যোগ
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে নোডাল অফিসার ঠিক করবেন কতজন শ্রমিককে কোথায় পাঠানো হবে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন কতগুলি স্টপেজে দাঁড়াবে এবং কোথায় যাবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেলওয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা জানিয়েছেন, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতেও নোডাল অফিসারই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
শ্রমিক ট্রেন নিয়ে রাজনীতি
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ট্রেন চালানো নিয়ে প্রবল জটিলতা তৈরি হয়েছে। একাধিক রাজ্য করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে চাইছেন না। এই নিয়ে বিপুল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তার উপরে আবার বিরোধীরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে।
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে
গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে উগ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যে ১ লক্ষ লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু ৩০০০ অতিক্রম করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করায় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনা সংকটে চিনের বিকল্প ভারত, জুতো কারখানা খুলতে আগ্রহ দেখাল জার্মান সংস্থা