কেরলে ধর্মান্তরণের পেছনে আর্থিক লেন-দেন নয়, রিপোর্টে জানাল এনআইএ
কেরলে লাভ জিহাদ মামলায় ধর্মান্তরণের পেছনে কোনও আর্থিক লেন-দেন হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানাল এনআইএ
কেরলে লাভ জিহাদ মামলায় ধর্মান্তরণের পেছনে কোনও আর্থিক লেন-দেন হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তবে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরণের পেছনে অন্য কোনও কারণ থাকতেই পারে। এবং ধর্মীয় প্রচারের মত অন্য কোনও কারণ থাকতেই পারে।
[আরও পড়ুন:"অপরাধীর প্রেমে পড়া নিষিদ্ধ নয়", কেরলের হাদিয়া মামলায় সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট]
এদিকে এআইএ-র এই রিপোর্টের পরই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করতে চান, তাহলে সেটা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু টাকার লোভ বা অন্য কোনও অসৎ উপায় প্ররোচনা দিয়ে যদি ধর্মান্তরণ করানো হয় তাহলে সেটা বেআইনি।
গত সোমবারই সুপ্রিমকোর্টে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় এনআইএ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআইএ ৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, তাঁদের ধর্মান্তরণের লোভ দেখানো হয়েছে এবং প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একজন বিশেষ ব্য়ক্তি জড়িত। তবে টাকার বিনিময়ে তাদের ধর্মান্তরণ হয়নি বলেই দাবি এনআইএ-র।
৭০ পাতার এই রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে সুপ্রিমকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। মূলত হাদিয়া ওরফে আকিলা অশোকনের ধর্মান্তরণের পরই তার বাবা মামলা করেন। এরপরই কেরল হাইকোর্ট এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে হাদিয়ার বিবাহকে নাকচ করে দেয়। এরপরই মামলা গড়ায় সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করেছে এআইএ।
এদিকে হাদিয়ার বাবা এনআইএ-কে জানিয়েছেন যে হাদিয়া এখনও নিজের মন্তব্য়েই অনড় যে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে শাফিনকে বিয়ে করেছেন। তবে এখনও হাদিয়া ও শাহিনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়নি বলে রিপোর্টে জানিয়েছে এআইএ।