হাথরাস ঘা শুকাতে না শুকাতেই কানপুরে বন্দুক দেখিয়ে ফের গণধর্ষণ দলিত যুবতীকে
হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর গোটা দেশ প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটালেও উত্তরপ্রদেশের চিত্র যে এতটুকুও বদলায়নি তা গত সপ্তাহ থেকে বেশ ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা থেকেই পরিষ্কার। এদিকে ইতিমধ্যে হাথরাসে দলতি যুবতীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর তদন্তভার ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। এবার তার মাঝেই আর এক দলিত যুবতী গণধর্ষণের শিকার হলেন উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।

অভিযোগের তির গ্রামের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় সপ্তাহখানেক আগে। কিন্তু পুলিশের কাছে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয় গত রবিবার। পুলিশ সূত্রেই খবর, কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়েই কানপুর দেহাত জেলার বাসিন্দা ২২ বছরের ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। এদিকে যে দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে গ্রামের এক প্রাক্তন প্রধানও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

কপালে বন্দুক ঠেকিয়েই গণধর্ষণ
সূত্রের খবর, যে দিন ঘটনাটি ঘটে সেদিন বাড়িয়ে ছিলেন না নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই খবর আগে থেকেই ছিল গ্রামের মুখিয়ার কাছে। তখনই সুযোগ বুঝে এক সঙ্গীকে নিয়ে দলিত যুবতীর বাড়িতে চড়াও হয় সে। এরপরই বন্দুক বার করে ভয় দেখিয়ে ওই যুবতীকে একে একে ধর্ষণ করে দুজনে। এমনকী ঘটনার কথা জানাজানি হলে নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকী দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মারধরও করা হয় বলে খবর। একটানা অত্যাচারে যুবতী অচৈতন্য হয়ে পড়লে তা সেখানেই ফেলে রেখে পালায় দুষ্কৃতীরা।

ফের বড়সড় প্রশ্নের উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা
এদিকে গতকালই প্রথম এই নারকীয় ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ফের তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় যোগী সরকারের ভূমিকা। উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষা নিয়ে ফের সরব হন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রাম প্রধান সহ কোনও অভিযুক্তকেই ধরতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

গণধর্ষণ ছাড়াও তফশিলি জাতি ও উপজাতি সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু
এদিকে নির্যাতিতা দলিত হওয়ায় অভিযুক্তদেক বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ছাড়াও ১৯৮৯ সালের তফশিলি জাতি ও উপজাতি সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট কেশবকুমার চৌধুরী। অন্যদিকে মেয়ের মুখেই নারকীয় অত্যাচারের কথা শুনলেও গ্রামের প্রধানের ভয়েই গত এক সপ্তাহ কার্যত তটস্থ হয়ে ছিল নির্যাতিতার পরিবারে। পরবর্তীতে সাহস সঞ্চয় করেই বিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তারা। এদিকে অভিযুক্তদের ধরতে ইতিমধ্যেই তিনটি টিম গঠন করেছএ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তিনটি টিমের নেতৃত্বে আছেন এসএইচও দেরাপুর, সার্কল অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
উত্তর প্রদেশে চাপ বাড়ছে বিজেপির, হাথরাসের পর বালিয়া শ্যুটিং, বিধায়ককে সতর্ক করলেন নাড্ডা