থাকবে না আলোকসজ্জা, উচ্চতা কমবে প্রতিমার, জৌলুসহীন কালীপুজো হবে এ বছর
দুর্গাপুজোর মতো এ রাজ্যে কালীপুজো জাঁকজমকহীনভাবে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য এই উৎসব খুব সাধারণভাবেই করা হবে বলেই জানিয়েছেন বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যরা।

থাকবে না আলোকসজ্জা, কমানো হবে প্রতিমার উচ্চতা
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসাতের বেশ কিছু জনপ্রিয় পুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এ বছর আলোকসজ্জাকে দূরে রেখে ও প্রতিমার উচ্চতা কমিয়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশানুসারে মণ্ডপের তিনদিক উন্মুক্ত থাকবে। প্রসঙ্গত দুর্গাপুজোর সময় বেশ কিছু সুরক্ষা বিধি চালু করা হয়েছিল হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। যার মধ্যে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ রুখতে ব্যারিকেড অন্যতম ছিল। এই একই নিয়ম বলবৎ রাখা হবে ১৪ নভেম্বর কালীপুজোর সময়ও। কালীপুজো ও অন্যান্য উৎসবের জন্য আতসবাজি বিক্রি ও ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

উত্তর কলকাতার কালীপুজো
উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্কের জনপ্রিয় পুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পুজোর উদ্বোধন খুবই সাদামাটাভাবে করা হবে এবং মণ্ডপে করোনা ভাইরাস আকারের ল্যাম্প জ্বালানো হবে। গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাব কালীপুজো কমিটির মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সি আর অ্যাভিনিউতে আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার চেয়ে বরং করোনাদৈত্যকে পোড়ানো হবে জ্বালানো হবে প্রতীকি হিসাবে।' আমর্হাস্ট স্ট্রীটের সাধারণ কালীপুজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এ বছর কোভিড-১৯ মহামারির পাশাপাশি তাদের পৃষ্ঠপোষক ও কংগ্রেস নেত সোমেন মিত্রের জুলাই মাসে মৃত্যুর কারণে তাদের কালী প্রতিমার উচ্চতা সাত ফুট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত ধরনের জাঁকজমক থেকে দূরে রাখা হয়েছে এই পুজোকে।

মধ্য কলকাতার পুজো
মধ্য কলকাতার আর এক পুজো কমিটি নবযুবক সংঘ কালী পুজো সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের পুজো মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি জোন'-এর বোর্ড লাগানো হবে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পুজোতে কোনও দর্শনার্থীর প্রবেশ নেই। কমিটির সদস্য ধনঞ্জয় কর বলেন, ‘আমরা প্রতিমার উচ্চতা কমায়নি,তা ১২-১৪ ফিট রাখা হয়েছে। কিন্তু যেখানে প্রতিমা রাখা হবে তার ৩০ মিটার দূরে ব্যারিকেড বসানো হবে। হুগলির চন্দননগরের আলোকসজ্জা থেকেও আমাদের পুজোকে দূরে রাখব এ বছর।'

বারাসাতের পুজো
বারাসাতে কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা এই তিনদিন লক্ষাধিক দর্শকের ঢল নামে পুজো দেখতে, এখানে থিমের পুজো বেশি হয়। তবে এ বছর প্রধান প্রধান পুজো কমিটিগুলি কোনও বড় পুজো মণ্ডপ করেনি এই মহামারি পরিস্থিতিতে। বারাসাতের নবপল্লী এলাকার এক পুজো কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা তিনদিক খোলা মণ্ডপ তৈরি করেছি। বারাসাত পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করার পর, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে মণ্ডপের সামনে আলোকসজ্জায় ভরা প্রবেশ দ্বার এ বছর করব না। অধিকাংশ মণ্ডপই কোনও সাজগোজ ছাড়া একেবারেই সাধারণভাবে হচ্ছে, এ বছর খুবই সাধারণভাবে কালীপুজো পালন করা হবে।'

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট কোন পর্যায়ে, ব্যাখ্যা! অধীরকে কি মুখ্যমন্ত্রী মানবে সিপিএম, কোন উত্তর সূর্য-র