ইদের দিনেও সীমান্তে পাক গোলায় হত এক ভারতীয় জওয়ান, ওয়াঘায় হল না মিস্টি বিনিময়
ইদের দিনেও পাকিস্তান, জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় এই বছর ওয়াঘা সীমান্তে কোন মিষ্টি বিনিময় হল না।
ইদের দিনেও ছাড় পেল না উপত্যকা। যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তের ওপাড় থেকে শনিবারও গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। গোলার আঘাতে আজকের এই উৎসবের দিনও শহিদ হয়েছেন বিকাশ গুরুং নামে এক সেনা জওয়ান। এর মাত্র কয়েকদিন আগেই সাম্বা জেলায় পাক হানায় হত হন চার বিএসএফ জওয়ান। পাকিস্তানি সেনার এই ধারাবাহিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে এবছর ইদের দিনে হল না প্রথা মেনে ওয়াঘা বর্ডারে ভারত ও পাক সীমান্ত রক্ষীদের মিস্টি বিনিময়ও।
এদিন নওশেরা এলাকায় পাক গোলার আঘাতে মৃত্যু হয় সেপাই বিকাশ গুরুং-এর। মঙ্গলবারই সাম্বা জেলায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার জিতেন্দর সিং এসআই রজনীশ কুমার, এএসআই রামনিবাস ও কনস্টেবল হংসরাজ গুর্জর আচমকা পাক আক্রমনে প্রাণ হারান। আহত হন আরও তিন সেনাকর্মী। তারপর থেকে সারারাত চলেছে গোলাবর্ষণ।
বিএসএফ-এর এডিজি কমল নয়ন চৌবে জানিয়েছিলেন, বিএসএফ-এর ওই কর্মীরা বেশ কিছু সরঞ্জাম স্থানান্তর করছিলেন। সেসময়ই তাদের উপর নির্বাচারে গুলি চালায় পাক রেঞ্জাররা। তারপর শুরু হয়েছিল মর্টার হানা। তিনি আরও জানান ৪ জুন তারিখেই দুদেশের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের ফ্ল্যাগ মিটিং-এ সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ভারত তা মেনে চললেও, পাকিস্তান তা মানেনি।
সারা বছর যতই সংঘর্ষ থাক, প্রত্যেক বছরই ওয়াঘা সীমান্তে অন্তত ইদের খুশির দিনটায় দুদেশের সীমান্তরক্ষীরা একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। এবছর পাক সেনার হানায় একের পর এক সহকর্মীদের হারানোর পর আর সেই সৌজন্য প্রদর্শন করতে চায়নি বিএসএফ। চোখে পড়েনি পাক সেনাদের তরফেও কোনও উদ্যোগ। মিষ্টি নয়, ইদের দিনেও ভারতীয় ভাইদের জন্য তারা গোলাই পাঠাল।