ভারতে করোনা ভাইরাসের 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' কি শুরু হয়ে গিয়েছে! কী জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
ভারতে করোনা ভাইরাসের 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' কি শুরু হয়ে গিয়েছে! কী জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন দেশে তখনই শুরু হবে যদি আমার (ভারতবাসীরা) সরকারী নির্দেশ না মেনে চলি।' এভাবেই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে সাফ বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বার্তা জানানো হয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও...
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে ৭০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার মুখে। ১ সপ্তাহেই প্রবল আকার নিয়ে নিয়েছে করোনার থাবা। এরপরই দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া দেশে বাড়লেও, যে হারে বাড় ছিল তা খানিকটা নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করেছে। ফলে আগামি দিনে সম্ভবত দেশ এই লকডাউনের সুফল পাবে।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কি শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে?
ভারতের একাধিক জায়গা থেকে এমন করোনা আক্রান্তের ঘটনা মিলছে যাঁরা বিদেশ থেকে ফেরেননি। অথচ দেখা যাচ্ছে যে তাঁদের দেহে করোনা দানা বেঁধেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছিলই যে আদৌ কি ভারতে কি এবার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন দানা বাঁধছে? যার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কোনও পোক্ত প্রমাণ ভারতে মেলেনি।
১৭ টি রাজ্যে কোভিড ১৯ এর হাসপাতাল
দেশের ১৭ টি রাজ্যে কোভিড ১৯ মেকাবিলিরা জন্য আলাদা হাসপাতাল গড়ার উদ্যোগ নিয়ে নিয়েছে সরকার। একথা এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে যে ভারতে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের যোগান যাতে না কমে তার বন্দোবস্ত করে চলেছে সরকার।
গত ২৪ ঘণ্টায় কী ঘটেছে?
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৪২ জনের দেহে মিলেছে করোনার চিহ্ন। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৪ জন। এমনই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।