'অকালে ভোট করতে হবে কর্ণাটকে', দাবি থোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাবার
কর্ণাটকে ২০১৮ সালে ভোটের পর জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট সরকার ক্ষমতা দখল করলেও প্রথম দিন থেকে এই সরকারের কাজকর্ম নিয়ে সংশয় থেকেছে।
কর্ণাটকে ২০১৮ সালে ভোটের পর জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট সরকার ক্ষমতা দখল করলেও প্রথম দিন থেকে এই সরকারের কাজকর্ম নিয়ে সংশয় থেকেছে। একদিকে বিজেপির সরকার থেকে দেওয়ার চাপ, তার ওপরে দুই দলের এক মেরুতে থেকে জোট ধর্ম পালনের চাপ, সবমিলিয়ে প্রথম থেকেই সরু সুতোর ওপরে হেঁটেছে কর্ণাটকে এইচডি কুমারস্বামীর জোট সরকার। এবার সেই সরকারই টিকবে না বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাবা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া।
দেবগৌড়ার সাফাই
যদিও এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। পরে দেবগৌড়ার পুত্র কুমারস্বামী বিতর্ক থামাতে সাফাই দিয়ে বলেছেন, বাবা বিধানসভা নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলেছেন। তবে ঘটনা হল, দেবগৌড়া এও বলেছেন, আমার ছেলে কতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবে তাও আন্দাজ করতে পারছেন না তিনি।
নির্বাচন নিয়ে সংশয় নেই
দেবগৌড়া বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে সংশয় নেই। কংগ্রেস বলেছিল আমাদের সমর্থন করবে। আমি সমস্ত দিক দেখছি, কংগ্রেসের আচরণও দেখছি। আমাদের সমর্থকেরা বুদ্ধিমান। আমাদের আলাদা করে শেখাতে হবে না।
সিদ্দারামাইয়া কী বলছেন
সূত্রের খবর, কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নাকি রাহুল গান্ধীকে বলেছেন, জেডিএসের সঙ্গে জোটের কারণেই কংগ্রেসের ক্ষতি হচ্ছে। যার ফল লোকসভা নির্বাচনে টের পাওয়া গিয়েছে।
লোকসভা ভোটের ফল
ঘটনা হল, লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। একটি করে আসনে জিতেছে কংগ্রেস ও জেডিএস। একটি আসনে বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জিতেছেন।