গোটা দেশে এখনই NRC কার্যকর করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি! লোকসভায় জানাল কেন্দ্র
এনআরসি ইস্যুতে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা মোদী সরকারের! নয়া এই আইন দেশজুড়ে লাঘু করার কথা বলা হলেও তা এখনও করা হয়নি। তবে আগামিদিনে নয়া এই আইন লাঘু হবে কিনা তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে বড়সড় ঘোষণা কেন
এনআরসি ইস্যুতে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা মোদী সরকারের! নয়া এই আইন দেশজুড়ে লাঘু করার কথা বলা হলেও তা এখনও করা হয়নি। তবে আগামিদিনে নয়া এই আইন লাঘু হবে কিনা তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের।
গোটা দেশে এখনই NRC অর্থাৎ জাতীয় নাগরিকপঞ্জী লাঘু করার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমনকি এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি। লিখিত জবাবে লোকসভাতে এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
এনআরসি ইস্যুতে উত্তাল হয় দেশ। বিশেষ করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল অসম। শুধু তাই নয়, গোটা দেশজুড়েই এনআরসি নিয়ে একটা আতঙ্কের ছবি ধরা পড়েছিল। আর এই ইস্যুতে মোদী সরকারের জনমানসে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তা ভালোভাবেই টের পায় কেন্দ্র।
কারন এনআরসির পরপরেই একাধিক রাজ্যের ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। বিশেষ করে এনআরসি নিয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রীতিমত সাধারণ মানুষকে আতংকিত করে তোলে। আর সেদিকে তাকিয়েই এনআরসি, সিএএ ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নেয় সরকার। কিন্তু এরপরেও একটা আতঙ্ক ছিল। তবে সরকারের এদিনের ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি জনমানসে।
এই মুহূর্তে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর তাতে এদিন এনআরসি, সিএএ বিষয়টিও উঠে আসে। এনআরসি'র পাশাপাশি সিএএ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সরকারের তরফে জানানো হয় যে, সিএএ গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল। ১০ জানুয়ারি ২০২০ সাল পর্যন্ত লাঘু করা হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে আরও ভাবনা চিন্তা প্রয়োজন বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। এমনকি আরও কিছু নিয়ম নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগেই বিতর্কিত কৃষি বিল প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। তিনটি বিতর্কিত বিলই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে ভোটের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। আর এই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়েও সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
এমনকি কৃষি বিল প্রত্যাহারের পরেই মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এবার কেন্দ্রকে সিএএ আইনও প্রত্যাহার করে নিতে হবে। যদিও এদিন প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত মোদী সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি। তবে এনআরসি নিয়ে স্পষ্ট জবাব সরকারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্পষ্ট বার্তা, এখনই দেশে এনআরসি লাঘু হচ্ছে না।
সিএএ আসলে কি?
citizenship amendment law কিংবা আইন ২০১৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এই আইনে মাধ্যমে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা শরনার্থীদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। এই সমস্ত দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ সহ একাধিক ধর্মের মানুষ সংখ্যালঘু। আর সেদিকে তাকিয়ে ভারতে পাঁচ বছরের বেশি বসবাসকারী শরনার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের মাধ্যমে। আগে নাগরিকতা পাওয়ার ক্ষেত্রে ১১ বছর অপেক্ষা করতে হত। এছাড়াও সরকার অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনআরসি লাঘু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল.