অনাস্থা-পরীক্ষায় মোদী সরকার, কী বলছে রাজনৈতিক গণিত ও ইতিহাস
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন, তার আগে ৪ বছরের শাসনকালে এদিন প্রথমবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে চলেছে মোদী সরকার। এই প্রস্তাব ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম দেশের জাতীয় রাজনীতি।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন, তার আগে ৪ বছরের শাসনকালে এদিন প্রথমবার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে চলেছে মোদী সরকার। এই প্রস্তাব ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম দেশের জাতীয় রাজনীতি। লোকসভায় এদিন পেশ হতে চলেছে এই অনাস্থা প্রস্তাব। গোরক্ষক থেকে দলিত ইস্যু তথা অন্ধ্রপ্রদেশ কে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস দেওয়া সহ একাধিক ইস্যুতে এদিন বিরোধীরা একডোট হয়ে এই প্রস্তাব আনতে চলেছে, যার মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের টিডিপি সরকার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কয়েকটি বিশেষ রাজনৈতিক দিক।
রাজনৈতিক গণিত
বর্তমানে ৫৩৩-জনের লোকসভা সাংসদদের মধ্যে ৩১৩ জনই বিজেপি জোট এনডিএর সদস্য। বাকি ২২২ জন রয়েছেন বিরোধী শিবির থেকে। ফলে সহজ পাটিগণিত বলছে, এদিন অনাস্থা প্রস্তাব এলেও জয় নিশ্চিত মোদী সরকারের।
পরীক্ষায় পদ্ম শিবির!
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটি হলপদ্ম শিবির বিজেপি তথা এনডিএ সরকারের পক্ষে একটি বড়সড় পরীক্ষা। এরই মধ্যে দক্ষিণরে দাপুটে রাজনৈতিক দল এআইডিএমকে জানিয়েছেতারা অনাস্থার পক্ষে নাও যেতে পারে। কারণ যে কারণে অন্ধ্রের টিডিপি এই প্রস্তাব আনতে চলেছে , তা কেবলই অন্ধ্র প্রদেশের ইস্যু। যা খানিকটা ব্যাকফুটে ফেলেছে বিরেধী জোটকে।
আপ-এর অবস্থান
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি নিজের সমস্ত সাংসদদের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবকে সমর্থন জানাতে বলেছে।
অনাস্থার ইতিহাস
২০০৩ সালে শেষবার অনাস্থা এসেছিল অটলবিহারী সরকারে বিরুদ্ধে। তৎকালীন বাজপেয়ী সরকারের নেতৃত্বাধীন ছিল এনডিএ জোট। যার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা। তবে সেই সময় বিজেপি বিরোধী জোট হেরে যায়। সেই সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা প্রসাতব আা হয়।
অনাস্থায় দাক্ষিণী রাজনীতির প্রভাব
২০০৩ সালের আগে ১৯৯৯ সালে অটলবিহারী সরকারকে অনাস্থার মুখোমুখি পড়তে হয়। সেই সময় অল্পের জন্য হেরে যায় সরকার। দক্ষিণের এআইডিএমক সেই সময় অটল সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়। তৎকালীন এআইএডিএমকের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত জয়ললিতা।