যেসব কারণে রাজস্থানে মোদীর দলের ফেরার সম্ভাবনা কম! সম্ভাবনা নেই তৃতীয় শক্তিরও
প্রত্যেক পাঁচ বছরে রাজস্থানে ক্ষমতার বদল হয়েছে। গত ২৫ বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। পর পর দুটি টার্মের জন্য একটি রাজনৈতিক দলকে কখনই নির্বাচিত করেনি রাজস্থানের জনগণ।
প্রত্যেক পাঁচ বছরে রাজস্থানে ক্ষমতার বদল হয়েছে। গত ২৫ বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। পর পর দুটি টার্মের জন্য একটি রাজনৈতিক দলকে কখনই নির্বাচিত করেনি রাজস্থানের জনগণ। এটাই কংগ্রেসের বড় সুবিধা, অন্যদিকে বিষয়টি বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জেরও।
সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে জয় কংগ্রেসের
সম্প্রতি দুটি লোকসভা এবং একটি বিধানসভার উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। আলোয়ার এবং আজমেঢ় লোকসভা এবং মণ্ডলগড় বিধানসভায় জয় পায় কংগ্রেস। এই আসনগুলি ছিল বিজেপির দখলে। বিধানসভা এলাকা হিসেব করলে এই তিনটি আসনে নির্বাচনে ১৭ টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। দুটি লোকসভার মধ্যে পড়ছে আটটি করে বিধানসভা এলাকা।
প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া
প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ায় ভর করে কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে বলে মনে করছে। তবে দল জিতলে কে সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে জয়ে যেমন রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান সচিন পাইলট কৃতিত্ব পেয়েছেন, অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলের তরফে কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনো দায়!
২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ২০০ টি আসনের মধ্যে ১৬৩ টি আসন পেয়েছিল। যদিও বর্তমানে বিজেপি তাদের ট্র্যাডিশনাল ভোট ব্যাঙ্কেই বাধার সম্মুখীন বলে জানা গিয়েছে। কেননা রাজপুত এবং গুজ্জরদের বিরোধিতা টের পাচ্ছে বিজেপি। দলের নেতারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই তাঁরা পৌঁছতে পারছেন না।
গুরুত্ব দিচ্ছেন অমিত শাহ
উপ নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরেই রাজ্যব্যাপী যাত্রা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। নাম রাজস্থান গৌরব যাত্রা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও রাজস্থানকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি সভা তিনি করেছেন সেখানে। অসন্তোষ দূরে সরিয়ে রেখে কর্মীদের কাছে পরপর দুবারের জন্য রাজস্থানে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
অস্তিত্বহীন তৃতীয় শক্তি
বহুজন সমাজ পার্টি আলাদা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করলেও, রাজস্থানে আলাদা করে কোনও দিনই তৃতীয় শক্তির অস্তিত্ব মেনেনি। কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়া বাকিরা কোনও দিনই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি।