প্রশান্ত কিশোরকে তাড়িয়েও বিপাকে জেডিইউ! নির্বাচনের আগে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ‘একা’ নীতীশ
নীতীশ কুমারের দলে হঠাৎ নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। জেডিইউ থেকে অপসারিত হয়েছেন বর্ষীয়ান পবন বর্মা এবং ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
নীতীশ কুমারের দলে হঠাৎ নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। জেডিইউ থেকে অপসারিত হয়েছেন বর্ষীয়ান পবন বর্মা এবং ভোট-কৌশলী তথা দলের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। এখন জেডিইউ সুপ্রিমো চিন্তায় পড়েছেন তাঁদের অভাব পূরণ হবে কী করে! সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে নীতীশকে।
কৌশলী নেতার অভাব বোধ
দিল্লির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এই নির্বাচন জেডিইউয়ের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। তথাপি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন বিহারে নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরের মতো কৌশলী নেতার অভাব বোধ করবে জেডিইউ।
ভার্মার মতো অভিজ্ঞতা ও যুক্তি
একইভাবে পবন ভার্মার মতো বর্ষীয়ান নেতার অভিজ্ঞতা এবং যুক্তি থেকেও বঞ্চিত হবে জেডিইউ। স্বভাবতই তাই প্রশ্ন উঠেছে, বরখাস্ত করার অর্থ কী এবং এই পদক্ষেপে দলই তো ফের বিপাকে পড়ে গেল। এই কঠিন অবস্থায় কোন দলীয় নেতা আরও শক্তিশালী হতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন নীতীশ কুমার।
পার্টিতে প্রবেশ অন্য ক্ষেত্র থেকে
পবন ভার্মা ও প্রশান্ত কিশোর উভয় ব্যক্তিই পার্টিতে প্রবেশ করেছিলেন ভিন্ন জগৎ থেকে। ভার্মা, ভুটানে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তাঁর ভূমিকা মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি ভার্মাকে উপদেষ্টার পদ দিয়েছিলেন। তারপরে রাজ্যসভা আসন দিয়ে ভূষিত করেছিলেন তাঁকে। ভার্মা নয়াদিল্লিতে কুমারের মুখ হয়ে উঠেছিলেন।
প্রশান্ত কিশোরের উত্থান ও পতন
আর প্রশান্ত কিশোরের উত্থান আরও আকর্ষণীয়। দলের কৌশল নির্ধারণ করতে তাঁকে দায়িত্ব দিতে গিয়ে দলের সহ সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির হয়ে ২০১৪ সালে প্রশান্ত কিশোর দারুন কাজ করেছিলেন। তারপর বিজেপির পরামর্শ মেনেই তাঁকে আনা হয়েছিল বলে নীতীশের দাবি। এখন সেই বিজেপির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হওয়াতেই প্রশান্ত কিশোর দল থেকে অপসারিত।
স্বৈরাচারী কাজকর্মে বিরক্ত অন্যরা
২০১৫ সালে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছিল জেডিইউ। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি নীতীশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এবং দলের সহ সভাপতির পদ পান। তা নিয়েই দলের অন্দরে ক্ষোভ লুকিয়ে ছিল। জেডিইউ-এর অনেক নেতা বলেছেন, কিশোর তার স্বৈরাচারী কাজকর্মের মাধ্যমে দলের মধ্যে আরও বিরক্তি সৃষ্টি করেছিলেন।
সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ দিতেন কিশোর
প্রশা্ন্ত কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সিনিয়র নেতাদের ডেকে বলতেন কীভাবে তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাবেন, তা কারও কারও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁরা প্রায়শই কুমারের কাছে তাঁর ‘বহিরাগত' সম্পর্ক তুলে অভিযোগ জানাতেন। কুমার মধ্যস্থতা করতেন এবং উভয় পক্ষকে সান্ত্বনা দিতেন।