জোট ভাঙতেই মোদীকে লোকসভা মনে করালেন নীতীশ! জানেন কি বললেন
জোট ভাঙতেই মোদীকে নিশানা নীতীশ কুমারের! মঙ্গলবারই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন তিনি। এমনকি সরকার থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ। এরপরেই বিহারের বুকে তেজস্বীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মহাজোটের সরকার তৈরি করলেন তিনি।
জোট ভাঙতেই মোদীকে নিশানা নীতীশ কুমারের! মঙ্গলবারই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন তিনি। এমনকি সরকার থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ। এরপরেই বিহারের বুকে তেজস্বীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মহাজোটের সরকার তৈরি করলেন তিনি।
আর অষ্টমবারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই বিজেপিকে তোপ নীতীশ কুমারের। গত কয়েকমাস ধরেই বিজেপির সঙ্গে একটা মনমালিন্য চলছিল নীতীশ কুমারের। কিন্তু নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতীশের অনুপস্থিতিই গোটা ছবিটা বদলে দেয়!
Those who came to power in 2014, will they be victorious in 2024? I would like all (opposition) to be united for 2024. I am not a contender for any such post (on PM post): Bihar CM Nitish Kumar pic.twitter.com/XI7BPaAA9K
— ANI (@ANI) August 10, 2022
২০২৪ সালের জন্যে ওনাকে চিন্তা করার প্রয়োজন
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উনি ২০১৪ সালে জিতেছিলেন। কিন্তু আগামী অর্থাৎ ২০২৪ সালের জন্যে ওনাকে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য নীতীশ কুমারের। তবে নতুন সরকার মসৃণ ভবে চলবে বলেও মন্তব্য জেডিইউ সুপ্রিমোর। আজ বুধবার একেবারে নির্ধারিত সময় দুপুর দুটোর সময়ে মহাজোট সরকারের হয়ে শপথ নেন নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গেই উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তেজস্বী যাদবও। আর এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নীতীশ। সেখানে একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।
২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইনি
তবে আগামী ২০২৪ সালে প্রদশানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হওয়া নিয়ে নীতীশের দাবি, কোনও পদের জন্যে কেউ দাবিদার নেই। কিন্তু যে অর্থাৎ বিজেপি ২০১৪ সালে এসেছিলতারা ২০২৪ সালের পর থাকবে না চলে যাবে? তবে এই বিষয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইনি। কিন্তু জোর করে আমাকে বসানো হয়েছিল বলে দাবি নীতীশ কুমারের। এরপর সবাই সবকিছু দেখেছে বলে দাবি জেডিইউ সুপ্রিমোর।
তেজস্বী জমানা শুরু হওয়াতে খুশি রাবরী দেবী
তবে নতুন করে বিহারের বুকে লালু পুত্র তেজস্বী জমানা শুরু হওয়াতে খুশি রাবরী দেবী। তিনি জানিয়েছেন, বিহারের মানুষের জন্যে এই সিদ্ধান্ত খুবই ভালো হয়েছে। এতে সবাই খুশি বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তেজস্বী যাদবের স্ত্রীও। বলে রাখা প্রয়োজন, ২৪৩ আসনবিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। কিন্তু বিহারের পালাবদলে নীতীশ শিবিরে রয়েছেন ১৬৪ জন বিধায়ক। আর বিজেপি শিবিরে ৭৭ জন বিধায়ক। বিজেপির পাল্টা দাবি নির্দল বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। আর মিমের বিধায়ক রয়েছেন একজন। তবে নীতীশ যেভাবে খেলা ঘুরিয়েছেন তাতে চাপেই বিজেপি।
খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভা গঠন
মন্ত্রিসভায় অন্য দলগুলির তরফে ক়ত জন মন্ত্রী হতে পারেন, কারা কারা মন্ত্রী হতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ এবং তেজস্বী আজ বুধবার একটি বৈঠকে বসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। সেখানেই মন্ত্রিসভা গঠন করা নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সব দলের বিধায়কদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে আরজেডি অর্থাৎ লালু প্রসাদ দলের থেকে সবথেকে বেশি মন্ত্রী হতে পারে বলে জল্পনা। এরপর নীতীশের দল থেকে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিবিআই এড়াতে কোন পথে অনুব্রত? সুপ্রিম কোর্ট নাকি ফিশচুলার অপারেশন