ভোটের আবহেই মহিলা উন্নয়ন নিয়ে তোপ! রাবড়ি দেবীর মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েও বেনজির আক্রমণ নীতীশের
প্রথম দফার নির্বাচন মিটলেও আগামী মাসের ৩ ও ৮ তারিখ দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহারে। এমতাবস্থায় শেষ মহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে এক বিন্দুও মাটি ছাড়তে রাজি নয় শাসক-বিরোধী কোনোপক্ষই। এদিকে এদিন বিহারের পারবাট্টার একটি জনসভা থেকে মহিলা উন্নয়ন নিয়ে লালুপ্রসাদকে একহাত নিতে দেখা গেল নীতীশ কুমারকে।

নীতীশের লাগাতার তোপের মুখে আরজেডি
আরজেডি সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি এদিনের নির্বাচনী সভা থেকেই জেডিইউ-বিজেপির এনডিএ সরকারের প্রশংসা করতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে। কাজের সুযোগ পেয়ে সরকারি ক্ষেত্রে হোক বা পঞ্চয়েত স্তর কোন ক্ষেত্রেই মহিলাদের সংরক্ষণ সুরক্ষিত করতে একফোঁটাও কার্পন্য করেননি তিনি। একইসাথে পৌর এলাকাগুলিতেও নারী সুরক্ষা ও নারীদের অধিকার নিয়ে তাঁর সরকার একগুচ্ছ উন্নয়ন মূলক প্রকল্প এনেছে বলে দাবি করেন জেডিইউ প্রধান।

নারী কল্যানে নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ালেন নীতীশ
অন্যদিকে লালুপ্রসাদের নাম না করেই আরজেডি শিবিরের দিকের একের পর এক তোপ দাগতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে নীতীশকে বলতে শোনা যায়, " আজ ওরা এত কথা বলছে, কিন্তু এতদিন কোন জায়গায় পড়েছিলেন বিহারের মহিলা? ভালো করে খতিয়ে দেখলেই দেখতে পাবনে বিহারের মহিলাদের সুরক্ষা, অধিকার, নিরাপত্তা নিয়ে জেডিইউ-র আগে কোনও সরকারই বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করেনি।"

নীতীশের কটাক্ষের মুখে বাবড়ি দেবী মুখ্যমন্ত্রীত্বও
এখানেই না থেমে লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষের সুরে নীতীশকে বলতে শোনা যায়, " ওর যখন জেলও হয় তখন তাঁর স্ত্রীকে(পড়ুন বাবড়ি দেবী) গদিতে বসিয়েছিলেন শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে। সোজা কথায় ক্ষমতা কায়েম ছাড়াও বিহারের মহিলা উন্নয়নে ওদের দল কিছুই করেনি। অন্যদিকে দেশের মানচিত্রে বিহার যদি আজ এতটুকুও এগিয়ে থাকে তা অবশ্যই সমাজের প্রতিটা স্তরে মহিলাদের সহযোগীতা ও অংশগ্রহণেপর জন্যই। আর তা হয়েছে আমাদের সরকারের আমেলেই। "

নারী কল্যান প্রসঙ্গে ২০১৬ সালে মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথাও টেনে আনেন নীতীশ
নারী কল্যান ও ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন নীতীশের মুখে একাধিকবার বিহার গ্রামীণ জীবিকা নির্বাহ প্রকল্পের (বিআরএলপি) সাফল্যের কথা শোনা যায়। যা স্থানীয় স্তরে ‘জীভিকা' প্রকল্প নামেই পরিচিত। একইসাথে পারিবারিক অশান্তি হ্রাস ও নারী নির্যাতন কমানো প্রসঙ্গেও ২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গও টেনে আনেন নীতীশ। যদিও বর্তমানে বিরোধীদের অভিযোগ, মদ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা শুধু খাতায় কলমেই রয়েছে। উল্টে এখন তো চোরাচালানকারীদের হাত ধরে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই বিহারে বাড়ি বাড়ি মদ ডেলিভারি শুরু হয়েছে।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েই চলেছে, একনজরে জেলা