জাতিগত সমীক্ষা শুরু হচ্ছে বিহারে, সমাধান যাত্রা থেকে বার্তা নীতীশ কুমারের
এবার শুরু হচ্ছে জাতিগত সমীক্ষা। শুক্রবার সমাধান যাত্রা থেকে এই মর্মে বার্তা দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি জানান, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা শুরু হচ্ছে ৭ জানয়ারি থেকে। দুটি পর্যায়ে তা পরিচালিত হবে।
এবার শুরু হচ্ছে জাতিগত সমীক্ষা। শুক্রবার সমাধান যাত্রা থেকে এই মর্মে বার্তা দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি জানান, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা শুরু হচ্ছে ৭ জানয়ারি থেকে। দুটি পর্যায়ে তা পরিচালিত হবে। সমীক্ষাটি শেষ হবে ৩১ মে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিহারে জাতিভিত্তিক সমীক্ষার প্রথম ধাপ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। আর এই ধাপের সমীক্ষা শেষ হবে ২১ জানুয়ারি। রাজ্যের সমস্ত পরিবারের সংখ্যা গণনা করা হবে। এবং তা রেকর্ড করা হবে। প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের সমীক্ষা।
এক একটি পরিবারে কত মানুষ বাস করেন, তাদের জাতি, উপজাতি, আর্ত-সামাজিক অবস্থা-সহ যাবতীয় তথ্য নেওয়া হবে। শুক্রবার সমাধান যাত্রা চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, এই সমীক্ষাটি রাজ্যের জাতি এবং সম্প্রদায়ের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবে এবং তা রেকর্ড থাকবে, যা উন্নয়নে সাহায্য করবে সরকারকে।
২০২২-এ ২ জুন রাজ্য মন্ত্রিসভা পরিবারের আর্থ-সমাজিক অবস্থায় তথ্য সংগ্রহ-সহ রাজ্যে বর্ণভিত্তির সমীক্ষার জন্য সর্বদলীয় দাবি অনুমোদন করা হয়েছিল। বিহার বিধানসভাও এর আগে জাত-ভিত্তিক সমীক্ষার পক্ষে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস করেছিল। পরে বিজেপি-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা দেশে বর্ণভিত্তিক আদমশুমারির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
কেন্দ্রের মোদী সরকার তখন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেচিল, তখন বিজেপি আর কোনও উদ্যোগই নেয়নি। আমরা তখন বিহারে জাত ভিত্তিক সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এটা সবথেকে বেশি সাহায্য করবে বর্তমান দুই শাসকদল জেডিইউ ও আরজেডিকে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা বঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি আরও ভালোভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মনে করছেন। সমীক্ষার প্রথম ধাপে ৫.২৪ লক্ষ সার্ভেয়ার কাজ করবেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশিরভাগ শিক্ষক, কৃষি সমন্বয়কারী, রোজগার সেবক, বিকাশ মিত্র, আশা কর্মী, জীবিকা দিদি প্রমুখ।
বিহারের ৩৮টি জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলের ২.৫৮ কোটি পরিবারের গণনা করা হবে। রাজ্যের আনুমানিক ১২.৭০ কোটি জনসংখ্যাকে কভার করবে এই সমীক্ষা। এই রিপোর্ট পরে পোর্টালে আপলোড করা হবে। কীভাবে তথ্য ও ডেটা সংগ্রহ করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সমীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে সমীক্ষকরা প্রতিটি পরিবার পরিদর্শন করবেন এবং পরিবারের সদস্যদের জাত, আর্থ সামাজিক প্রোফাইল, সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাভোগী ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করবেন। পঞ্চায়েত থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত আটটি স্তরে সমীক্ষা হবে।