রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকায় জাতপাতেই মাত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের! বিপাকে মোদী ক্যাবিনেটের সদস্য
রাজ্যসভার (rajya sabha) প্রার্থী তালিকায় চমক নীতীশ কুমারের (nitish kumar) জেডিইউ (jdu)-এর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিংকে (rcp singh) তারা তৃতীয়বারের জন্য রাজসভা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তেবিহার থেরে রাজ্য
রাজ্যসভার (rajya sabha) প্রার্থী তালিকায় চমক নীতীশ কুমারের (nitish kumar) জেডিইউ (jdu)-এর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিংকে (rcp singh) তারা তৃতীয়বারের জন্য রাজসভা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তে বিহার থেরে রাজ্যসভার দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের জন্য দলের ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সভাপতি খিরু মাহাতার নাম ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গ খিরু মাহাত ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঝা়ড়খণ্ডের মান্ডু থেকে জেডিইউ-এর বিধায়ক ছিলেন।
রাজ্যসভায় নতুন প্রার্থী জেডিইউ-এর
জেডিইউ-এর
ন্যাশনাল
প্রেসিডেন্ট
রাজীব
রঞ্জন
সিং
ওরফে
লালন
সিং
দলের
তরফে
বিবৃতি
দিয়ে
বলেছেন,
দলের
ঝাড়খণ্ডের
রাজ্য
সভাপতি
এবং
প্রাক্তন
বিধায়ক
খিরু
মাহাত
বিহার
থেকে
রাজ্যসভায়
দলে
প্রার্থী
হবেন।
এরপরেই
আরসিপি
সিং-এর
সমর্থকদের
মধ্যে
বিষণ্ণতা
নেমে
আসে।
নীতীশের চালে মাত
আরসিপি
সিং-এর
মতো
খিরু
মাহাতও
কুর্মি
সম্প্রদায়ের।
উভয়ের
মধ্যে
পার্থক্য
হল
আরসিপি
সিং
বিহারের
নালন্দার
বাসিন্দা
আর
খিরু
ঝা়ড়থণ্ডের
হাজারিবাগ
জেলার
বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ
করা
যেতে
পারে,
দলের
তরফে
নীতীশ
কুমারকেই
রাজ্যসভার
প্রার্থী
নির্বাচনের
জন্য
ক্ষমতা
দেওয়া
হয়েছিল।
মন্ত্রিত্ব যাবে আরসিপির
রাজ্যসভায় আরসিপি সিং-এর দ্বিতীয়বারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ জুলাই। তাঁকে দলের সুপ্রিমো নীতীশ কুমার রাজ্যসভার জন্য পুনরায় মনোনয়ন দেননি। সেই কারণে তাঁকে মোদী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রসঙ্গ মোদী সরকারের জেডিএই-এর একমাত্র মন্ত্রী রয়েছেন এই আরসিপি সিং। ২০১৯-এ বিজেপির জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নীতীশ কুমারের দাবি ছিল অন্তত দুটি ক্যাবিনেট মন্ত্রী আর দুটি রাজ্যমন্ত্রীর পদ। কিন্তু বিজেপি তা মানেনি। সেই সময় নীতীশ কুমারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আরসিপি সিং মোদী ক্যাবিনেটের সদস্য হয়েছিলেন।
বিহার থেকে বিজেপি নেতার নামও বাদ
জেডিইউ-এর সহযোগী বিজেপিও বিহার থেকে রাজ্যসভায় নতুন প্রার্থী দিচ্ছে। বর্তমানে বিহার থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন, গোপাল নারায়ণ সিং। ৭ জুলাই তাঁর মেয়াদও শেষ হচ্ছে।
সেই জায়গায় বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে শম্ভুচরণ প্যাটেলকে। তিনি পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নেতা। তবে তিনি নীতীশ কুমারের সঙ্গে থাকলেও কয়েকবছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি দ্বিতীয় আসনে সতীশ দুবেকে প্রার্থী করছে। তাঁকে দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, গোপাল সিং-এর নাম বাদ দেওয়ার কারণ তাঁর বয়স ৭৫ পেরিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯-এ ৭৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া এলকে আদবাণী, মুরলি মনোহার যোশীর মতো অনেক নেতাকেই লোকসভায় প্রার্থী করেনি বিজেপি।
রাজ্যসভা নির্বাচনের তালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের, জায়গা পেলেন না গুলাম নবি-আনন্দ শর্মা