অন্ধ্রপ্রদেশের পর বিহার, বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ এবার বিশেষ স্ট্যাটাসের দাবি নিয়ে ময়দানে
বিহারের বিশেষ প্যাকেজের দাবিও সামনে এসেছে। বিরোধী আরজেডি জেডিইউ-কে কেন্দ্রের কাছে বিহারের পুরনো দাবি পেশ করতে বলেছে।
বিশেষ প্যাকেজের দাবি ঘিরে অন্ধ্রপ্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টি কেন্দ্রের এনডিএ সরকার ও জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির উপরে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে নো কনফিডেন্স মোশন এনেছে লোকসভায়। যা নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বারবার স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে লোকসভার কাজকর্ম।
এসবের মাঝেই বিহারের বিশেষ প্যাকেজের দাবিও সামনে এসেছে। বিরোধী আরজেডি জেডিইউ-কে কেন্দ্রের কাছে বিহারের পুরনো দাবি পেশ করতে বলেছে।
বিহার পরিকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যার ফলে শিল্পে বিনিয়োগ আশানুরূপ হয় না। এর আগে জাতীয় উন্নয়ন কাউন্সিল বিহারের বিশেষ প্যাকেজের দাবি সামনে আনলেও কেন্দ্র তা নাকচ করে দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গ ওঠায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, গত দশবছর ধরে আমরা কেন্দ্রের কাছে বিশেষ দাবি করে আসছি। এই প্রসঙ্গে লড়াই থেকে সরে আসিনি। আমাদের চুপ থাকাকে লড়াই থেকে সরে আসা হিসাবে ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়। দাবি জানানো মানেই তা নিয়ে প্রতিদিন কথা বলতে হবে তা নয়।
এদিন নীতীশ আলাদা করে কেন্দ্রের সরকারের সমালোচনা না করলেও ফের একবার বিশেষ স্ট্যাটাসের কথা তুলে পরোক্ষে জোটসঙ্গীকে চাপে ফেললেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে বিজেপি মর্যাদা পেলেও আচমকা টিডিপি, হিন্দুস্তান আবাম মোর্চার মতো কয়েকটি দল এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসা ও শিবসেনার মতো দলের বারবার বিজেপির সমালোচনা করা পরোক্ষে চাপ তৈরি করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন জিতনরাম মাঝির দল হিন্দুস্তান আবাম মোর্চার নেতা নরেন্দ্র সিং জেডিইউয়ে যোগ দিলেন। আবাম মোর্চা কয়েকদিন আগে আরজেডি-র সঙ্গে জেডিইউ-বিজেপি বিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই নরেন্দ্র জেডিইউ যোগ দিলেন।
ঘটনা হল, অন্ধ্রপ্রদেশে আগামী বছর বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে টিডিপির কেন্দ্রের জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াকে অনেকেই রাজনৈতিক চাল বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তার সঙ্গে অন্য জোটসঙ্গীরাও অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় ফের নীতীশ নতুন দাবিদাওয়া পেশ করলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না।