মণিপুরে জেডিইউ গড়ে ভাঙন, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নীতীশ কুমার
মণিপুরে জেডিইউ গড়ে ভাঙন, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নীতীশ কুমার
উত্তর-পূর্ব ভারতে একের পর এক জেডিইউ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেখালেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির মানসিকতা স্পষ্ট। বিজেপি কোথাও বিরোধী দল চায় না। সেই কারণেই একের পর এক জেডিইউ বিধায়করা তারা কিনে নিচ্ছে।
শনিবার জেডিইউয়ের কার্য নির্বাহী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নীতীশ কুমার। সেখানে তিনি মনিপুরের ছয় জেডিইউ-এর বিধায়কের পাঁচ জনের বিজেপিতে যোগদানের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। কয়েকদিন আগেই এই বিধায়করা বিহারে বৈঠকে জাতীয় কার্য নির্বাহীর বৈঠকে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এখন তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। এটা কোনও সংবিধানিক উপায় হতে পারে না।
এর অর্থ বিজেপি কোনও বিরোধী দল চায় না বলে নীতীশ কুমার মন্তব্য করেন। শুক্রবার মণিপুরের ছয় জেডিইউ বিধায়কের মধ্যে পাঁচজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মণিপুরে বর্তমানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। লিলং আসনের বিধায়ক মহম্মদ নাসির মণিপুরে একমাত্র জেডিইউ বিধায়ক। তবে তিনি শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। এর আগে অরুণাচল প্রদেশের সাত জেডিইউ বিধায়কের মধ্যে ছয়জন বিজেপিতে যোগ দেন।
অগাস্টে নীতীশ কুমার বিজেপি জোটের থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন। বিহারে মহাগঠবন্ধন জোট সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পরেই নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বিরোধী জোটের জন্য কাজ করবেন। জোট থেকে বেরিয়ে আসার সময় জেডিইউ-এর প্রবীণ নেতা অভিযোগ করেন, বিজেপি জোটে দম বন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অমিত শাহ বিহারের প্রতিটা সিদ্ধান্তের হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে জেডিইউ ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
বিজেপি নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদী বলেন, জেডিইউ বিধায়করা নীতীশ কুমারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা সহ্য করতে পারেননি। তাঁরা তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেনস শুধু মনিপুর নয়, একাধিক রাজ্যে জেডিইউ ইউনিট নীতীশ কুমারের বিরোধিতা করবে। তার জন্য নীতীশ কুমারকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন।
জেডিইউ সভাপতি রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিং বলেন, আবার বিজেপি নিজেদের চরিত্র জনগণের সামনে প্রকাশ করেছে। মোদীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা একটা অজুহাত মাত্র। যখন জেডিইউ বিজেপির মিত্র ছিল, সেই সময়ও দল ভাঙানোর চেষ্টা করেছে। একাধিক জেডিইউ বিধায়ক তখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদকে! ছাঁটাই শুধু সময়ের অপেক্ষা?