নিয়মের ফের, নির্বাচনে না লড়েই গত দেড় দশক যাবদ মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে নীতীশ কুমার!
বিগত তিন-চার দশক ধরে বিহারের রাজনীতিতে এক অপরিহার্য ব্যক্তির নাম হল জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এই সময়কালে তিনি ১৫ বছর মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন রাজ্যের। তবে বিগত ৩৫ বছরে আর একবারের জন্যেও বিধানসভা নির্বাচনে লড়েননি এই বর্ষীয়ান নেতা। শুনতে অবাক লাগলেও তিনি প্রতিবারই আইনসভার মনোনীত সদস্য হিসাবেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ৩৫ বছর আগে শেষ বারের মতো বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন নীতীশ।

আইন সভার সদস্য
নীতীশের দেখানো পথেই নির্বাচিত না হয়েও আইন সভার সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসিতে বসেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে যোগী আদিত্যনাথ নির্বাচনের ময়দানে নামতে ভয় পান না। এর আগে টানা পাঁচবার গোরক্ষপুর তিনি সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রথমবার যখন তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, ১৯৯৮ সালে সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর। প্রসঙ্গত বিহার ছাড়া দেশে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলঙ্গানায় আইন পরিষদ রয়েছে।

১৯৮৫ সালে শেষবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন নীতীশ
এবছর নীতীশ ষষ্ঠ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনী ময়দানে নামবেন। তবে তিনি নিজের নির্বাচনে লড়বেন না। এর আগে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ এবং ২০১৫ সালে দুই বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেছেন নীতীশ। তবে এই এতবছরে একবারও ভোটের ময়দানে নেমে মানুষের মন জয় করতে সচেষ্ট হননি তিনি। ১৯৮৫ সালে শেষবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন নীতীশ।

১৯৭৭ সালে নীতীশের অভিষেক নির্বাচনী ময়দানে
১৯৭৭ সালে প্রথমবার নির্বাচনী ময়দানে পদার্পণ করেন নীতীশ। প্রথম দফায় হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল নীতীশকে। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে জয়লাভ করেছিলেন। এবং সেটাই শেষবারের জন্যে তাঁর বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামা। এরপর অবশ্য ৬ বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন নীতীশ। ২০০৪ সালে শেষবারের মতো লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন নীতীশ।

২০০৫ সালের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেন নীতীশ
এরপর ২০০৫ সালের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেন নীতীশ। সেই সময় তিনি বিধানসভা বা আইনসভা, কোনও সভারই সদস্য ছিলেন না। পরে আইনসভায় মনোনীত হয়ে রাজ্যপাঠ সামলান তিনি। এরপর বিগত ১৫ বছর ধরে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। শুধু মাঝে ২০১৪ সালে ৯ মাসের জন্য তিনি রাজনৈতিক মত পার্থক্যের জেরে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ক্ষমতা থেকে। তখন মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছিলেন জিতেন রাম মাঁঝি।

এবিষয়ে নীতীশের বক্তব্য
নির্বাচনে না লড়াই করার বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন নীতীশ স্বয়ং। অনেকেই দাবি করেছিলেন যে হেরে যাওয়ার ভয়তেই নির্বাচনে লড়েন না নীতীশ। তবে নীতীশের দাবি, তিনি নির্বাচনে লড়লে তাঁর ফোকাস থাকবে কেবলমাত্র একটি আশনের উপর। তা তিনি হতে দিতে পারেন না। তাই তিনি উচ্চকক্ষে মনোনীত হয়ে শাসনভার সামলাতে চান। ২০১৮ সালে তিনি আইন সভায় মনোনীত হন শেষবারের জন্যে। তাঁর ৬ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।

কী কারণে খুন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা? জট খুলল রহস্যের! সিআইডির জালে দুই