বিহারে নীতিশ কুমারই এনডিএ-র মুখ, এনডিএর বৈঠকের আগে জেডিইউ নেতার মন্তব্যে জল্পনা
বিহারে নীতিশ কুমারই এনডিএ-র মুখ। এ সপ্তাহের শেষে এনডিএ-র বৈঠক হওয়ার আগে রবিবার পাটনায় একথা বললেন জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা।
বিহারে নীতিশ কুমারই এনডিএ-র মুখ। এ সপ্তাহের শেষে এনডিএ-র বৈঠক হওয়ার কথা বিহারে। তার আগে রবিবার পাটনায় নীতিশের বাসভবনে দলের এক বৈঠকে বসেন জেডিইউ-এর তাবড় নেতারা। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়েই ডেজিইউ-এর যুগ্ম জাতীয় সম্পাদক পবন ভার্মা এমন্তব্য করেন। পর পর উপনির্বাচনে বিজেপি বেকায়দায় পড়ার পর এখন থেকেই এনডিএ-র শরিকরা ২০১৯ সালের লোকসভার আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষি শুরু করে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার নীতিশের বাসভবনে আসেন জেডিইউয়ের প্রায় সব বড় নেতাই। দলের দুই জাতীয় সম্পাদক কে সি ত্যাগী ও পবন ভার্মা ছাড়াও আসেন পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। ছিলেন বেশ কয়েকজন রাজ্যনেতাও। আগামী ৭ জুন বিহারেই হবে এনডিএ-র বৈঠক। আগামী লোকসভার নির্বাচনী কৌশল ঠিক করার কথা। তার আগে জোটসঙ্গী জেডিইউ নিজেদের ভোট স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নীতিশের
বাড়ি
থেকে
বৈঠক
সেরে
বেরনোর
সময়ই
পবন
ভার্মা
জানান,
'বিহারে
নীতিশই
এনডিএ-র
মুখ।
সেই
জন্যই
তাঁকে
মুখ্য়মন্ত্রী
করা
হয়েছে।
জোটে
জেডিইউ-ই
সবচেয়ে
বড়
শরিক।'
তবে
তাঁর
এই
মন্তব্যে
একটা
অন্য
রকম
ইঙ্গিত
পাওয়া
যাচ্ছে
বলে
মনে
করছেন
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা।
তাঁদের
মতে
উপনির্বাচনের
হার
আভাস
দিচ্ছে
গত
লোকসভার
মতো
একক
সংখ্যাগরিষ্ঠতা
নিলবে
না
বিজেপির।
সেক্ষেত্রে
তাদের
শরিকদের
ওপর
নির্ভর
করতেই
হবে।
বিজেপি
পাকে
পড়েছে
বুঝতে
পেরেই
দর
কষাকষি
করতে
আসরে
নামছে
শরিকরা।
তারা
বলছে
গত
লোকসভা
ভোটের
পর
একক
শক্তির
জোরে
এনডিএ-তে
বিজেপি
যে
দাদাগিরি
চালাতো,
তা
আর
চলবে
না।
২০১৪ সালে এনডিএর সঙ্গে ছিলেন না নীতিশ কুমার। জেডিইউ একা লড়ে মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল। অন্যদিককে ৪০ টি আসনের ২২টিই গিয়েছিল বিজেপির ঘরে। কিন্তু তারপর বিধানসভায় ছবিটা অনেকটাই পাল্টে যায়। বিহার বিধানসভায় বিজেপির থেকে প্রায় ২০টি আসন বেশি আছে শরিক দলটির। পবন ভার্মার মন্তব্য থেকে স্পষ্ট বিজেপিকে চাপ গিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিহারে যত বেশি সংখ্য়ক আসনে জেডিইউ প্রার্থী দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
বিহারে জেডিইউ ছাড়াও এনডিএ-র শরিক আছে রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সামন্ত পার্টি। শক্তিতে এই দলগুলি আরও ছোট হলেও এনডিএ-র বৈঠকে এবার এদেরও জোরালো কন্ঠ শোনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।