‘কাজে নয়, শুধুমাত্র নামেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ’, তোপ শিবসেনার
ইতিমধ্যেই ফের ক্ষমতায় ফিরেছে বিহারের এনডিএ জোট। দুদিন আগেই সপ্তমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণও সেরে ফেলেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এমতাবস্থায় এবার নীতীশের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বড়সড় খোঁচা দিতে দেখা গেল শিবসেনাকে। শিবসেনার সাফ বক্তব্য, কাজে নয়, শুধুমাত্র লোক দেখাতেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানো হয়েছে নীতীশ কুমারকে। কিন্তু সব ক্ষমতাই আছে বিজেপির হাতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ২৪৩ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এনডিএ জোটে আসে ১২৫ টি আসন। তার মধ্যে একার ক্ষমতাতেই বিজেপি পায় ৭৪ আসন। জেডিইউ-র দখলে যায় মাত্র ৪৩টি আসন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিরোধী শিবির থেকে হলেও ৭৫টি আসন পেয়ে বিহারের বৃহত্তম দলের তকম জোটে তেজস্বী যাদবের আরজেডি শিবিরেরই। ফলস্বরূপ রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তির বিচারে তৃতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হয়ে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। পাশাপাশি এনডিএ শিবির থেকে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির দুই বরিষ্ঠ নেতা তারকিশোর ও রেণুদেবীকে বসানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আগের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী পদ্ম শিবির থেকে এলেও তার সাথে বরাবরই ভালো সম্পর্ক থেকে নীতীশের। ফলে কোনও বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি তাকে। কিন্তু সেই সুশীল মোদীকে সরিয়ে তার জায়গায় সোজা আরএসএসএস থেকে দুই তাবড় নেতৃত্বকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে সুকৌশলে নীতীশের উপর চাপ বজায় রাখতে গেরুয়া শিবির। এদিকে শিবসেনার দাবি নিজের ক্ষমতায় নয়, বিজেপির কাঁধে ভর করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছেন নীতশ। নীতীশকে খোঁচা দিয়ে দলীয় মুখপত্রে শিবসেনার তরফে সাফ প্রশ্ন করা হয়, “ আর কতদিন? আর কতদিন ভারতীয় জনতার পাঁর্টির থেকে সুবিধা নিয়ে মসনদ ধরে রাখবেন জেডিইউ প্রধান? ”

পাকিস্তানকে খালি করে দিতে হবে পিওকে , গিলগিট! গেরুয়া ক্যাম্পের নেতার উদ্যোগ কোনপথে