১৫ বছরে সবথেকে খারপ রেকর্ড! মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিতেও ‘অনিচ্ছুক’ নীতীশ, কী বলছে বিজেপি?
১৫ বছরে সবথেকে খারপ রেকর্ড! মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিতেও ‘অনিচ্ছুক’ নীতীশ, কী বলছে বিজেপি?
বিহারের নির্বাচনী লড়াইয়ে কোনও রকমে জয় পেলেও বর্তমানে এনডিএ জোটে থেকেও বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির সাথে হাত মেলানোয় আদপে রাজ্যে অনেকটাই শক্তি কমেছে জেডিইউ-র। এমতাবস্থায় নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েও ঘনিষ্ঠ মহলে সংশয় প্রকাশ করলেন নীতীশ কুমার। এদিকে ভোটের আগেও 'শেষ নির্বাচনী লড়াইয়ের' বার্তা দিয়েও জল্পনা বাড়িয়ে ছিলেন বিহারের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
চাপ বাড়াচ্ছে আরজেডি
অন্যদিকে শাসক শিবিরের চাপ বাড়িয়ে রাজ্য একক বৃহত্তম দলের শিরোপা পেয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার গড়তে প্রয়োজন ছিল ১২২টি আসন। সেই ক্ষেত্রে ১০ নভেম্বর ভোট গণনার দিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এনডিএ-র খাতায় যায় ১২৫টি আসন। বিজেপি একা পায় ৭৪টি আসন। আর জেডিইউ-র দখলে যায় মাত্র ৪৩টি আসন। আর এখানেই শক্তি ক্ষয়ের ভয় পাচ্ছেন নীতীশ। পাশাপাশি অন্য দুই শরিক ভিআইপিও ও হামের দখলে গেছে চারটি করে আসন।
আশ্বস্ত করছে বিজেপি
এদিকে ভোট প্রচার হোক বা ভোট পরবর্তী সময়ে, প্রতিবারই নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করার ক্ষেত্রে এগিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবির। এমনকী রাজ্যপাঠ সামলানোর ক্ষেত্রে আগের মতো ‘স্বাধিকারে' কেউই হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানান বিজেপি নেতারা। কিন্তু তারপরেও সাংগঠনিক শক্তির বিচারে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে চলে যাওয়াতেই খানিকটা হলেও চাপে রয়েছেন নীতীশ। অন্যদিকে একহাতে তেজস্বীর শিবির ৭৫টি আসনে ক্ষমতা ধরে রাখাতেও চাপ বেড়েছে জেডিইউ-র উপর।
১৫ বছরে সব থেকে খারপ রেকর্ড নীতীশের
এদিকে গত ১৫ বছরের প্রাপ্ত ভোট ও আসনের নিরিখেও সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে নীতীশের জনতা দল ইউনাইটেড। এদিকে ভোটে জেতার পরই বুধবার একটি আবেগঘন টুইটবার্তায় নীতীশ কুমার লেখেন, " আবারও প্রমাণিত হল জনতাই সব। এনডিএকে মুক্ত হতে সমর্থন করার জন্য আমি রাজ্যবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমার উপর সমর্থন বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানাই।"
এলজেপি-র উপরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নীতীশ
যদিও সূত্রের খবর, ভোট পূর্বে যেভাবে চিরাগ পাসোয়ানের এনডিএ এলজেপি জেডিইউ-র পিছনে হাত ধুয়ে পড়েছিল তাতে মনোক্ষুন্ন হয়েছে নীতীশের। এমনকী তার মতে এলজেপির ভোটকাটাকাটির কারণেই অনেকটাই ভোট কমেছে জেডিইউ-র। আখেড়ে লাভ হয়েছে বিজেপির। এলজেপি যদিও এই ‘নোংরা খেলা' না খেলত তবে কম আরও ২৫ থেকে ৩০ টি আসনে জেডিইউ-র জয় লাভের সম্ভবনা আরও জোরদার হত। এমতাবস্থায় দীপাবলির পরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে নীতীশ কতটা মানসিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন এখন সেটাই দেখার।