নীতীশ কুমার কি ইউ-টার্নের মুখে দাঁড়িয়ে! মহাজোটের আবহ তৈরি তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠকে
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতীশ কুমার আবারও নিজেকে বিশাল ইউ-টার্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব এবং জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি বৈঠক করে ফেলেছেন।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতীশ কুমার আবারও নিজেকে বিশাল ইউ-টার্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব এবং জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি বৈঠক করে ফেলেছেন। এই দুই বৈঠক রাজ্যে তাদের জোট গঠনের প্রয়াস বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরজেডি ও জেডিইউ-এর এক সুর
এই বৈঠকের আগে আরজেডি ও জেডিইউ উভয়ই বিধানসভার অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় সাধন করেছে এবং বেশ কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ে তাদের একমত হতে দেখা গিয়েছে। বিহার বিধানসভা এনআরসি প্রয়োগ না করার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করার বিষয়ে উভয় দলই ঐক্যমত্য হয়েছিল। এনপিআর নিয়েও যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাতে একমত ছিল আরজেডি ও জেডিইউ।
নীতীশের ইউ-টার্ন নিয়ে চর্চা
বিধানসভায় দুই দলের এই অবস্থানই সন্দেহ বাড়িয়েছিল নীতীশের ইউ-টার্ন নিয়ে। তবে কি ২০১৫ সালের সেই সমীকরণই ফের ফিরে আসবে বিহারে? আবার বিজেপি একা হয়ে যাবে? নীতীশ কুমার কি ফের হাত মেলাবেন মহাজোটের সঙ্গে, হাত মেলাবেন আরজেডি নেতা এবং তাঁর প্রাক্তন সহকারী তেজশ্বী যাদবের সঙ্গে?
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দু'বার সাক্ষাৎ
এরই মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দু'বার সাক্ষাৎ ঘটে গিয়েছে নীতীশ ও তেজস্বীর। হঠাৎ কেন তাঁদের সাক্ষাৎ। কী এমন আলোচনা? বুঝতে অসুবিধা হয় না, উভয়েই আবার পুরনো সমীকরণে ফিরতে চাইছেন। অন্তত সেই বাসনা উভয়ের মধ্যেই রয়েছে। না, এই সাক্ষাৎকার নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎকার ছিল না।
জিতেনরাম মাঝির আমন্ত্রণ নীতীশ কুমারকে
ইতিমধ্যে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেনরাম মাঝি নীতীশ কুমারকে মহাগোটবন্ধনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "নীতীশ কুমার মহাগোটবন্ধনে ফিরতে চাইলে, তা কি ভুল? মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর চেয়ে বড় মুখ কে আছে? কংগ্রেসও মনে করছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর অন্য ভাবনা ভাবা উচিত।
নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে
তেজস্বী যাদব নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, নীতীশ কুমার ব্যক্তিগত স্তরে আমার অভিভাবকের মতো এবং আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তবে এটাও ঠিক তাঁর কারণেই আমি বিরোধী দলের নেতা। আমি বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করছি। সরকারের ভালো কাজের সমর্থনও করছি, আবার খারাপ কাজের বিরোধিতাও করছি।
২০২০-তেও বিহারে মহাজোট হতে পারে
এসব দেখেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো ২০২০-তেও বিহারে মহাজোট হতে পারে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই মহাজোটে সামিল হতে পারেন নীতীশ কুমার। তিনি ২০২০-এর বিধানসভা ভোটেও ইউ-টার্ন নিতে পারেন। সিএএ-এনপিআর-এনআরসি বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিজেপিকে কোণঠাসা করার মধ্য দিয়ে জেডিইউ সুপ্রিমো তা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেনও।