২০১৯-এ অপেক্ষা করছে ভরাডুবি, দুর্নীতি খোঁচায় বিদ্ধ রাহুল-তেজস্বীকে বার্তা নীতীশের
রাহুলের দুর্নীতিকে সমর্থন করেছেন। ২০১৯ বিহারে তথাকথিত মহাজোটের ভরাডুবি হবে বলে জানিয়ে একযোগে নীতীশ কুমার তোপ দাগলেন রাহুল ও তেজস্বীকে।
বিহারে মহাজোট ভাঙার পর কেটে গিয়েছে দেড় বছর। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকেই কাঠগড়ায় তুললেন। দায়ী করলেন রাহুলের দুর্নীতি-সমর্থনকেই। ২০১৯ বিহারে তথাকথিত মহাজোটের ভরাডুবি হবে বলে জানিয়ে একযোগে তোপ দাগলেন রাহুল ও তেজস্বীকে।
রাহুল-তেজস্বীকে দুর্নীতি-খোঁচা
নীতীশ কুমারের অভিযোগ, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও রাহুল গান্ধী কোনও প্রতিবাদ করেননি। বরং তাঁকে জোট ছাড়ার বিষয়টি আরও একবার ভেবে দেখতে বলেছিলেন। রাহুল গান্ধীর উচিত ছিল তেজস্বী যাদবের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। উল্টে তেজস্বীকেই সমর্থন করেছিলেন।
রাহুলকে অর্ডিন্যান্স কটাক্ষ
এ প্রসঙ্গে তিনি মনমোহন সিং সরকারের সময় দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের বাঁচাতে একটি অর্ডিন্যান্সের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলে বিখ্যাত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তেজস্বীর বেলায় তা সমর্থন করলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলেই নীতীশ দুর্নীতি-খোঁচা দেন রাহুল গান্ধীকে।
রাহুলের অবস্থান সংশয়পূর্ণ
নীতীশ বলেন, তেজস্বীকে নিয়ে রাহুলের অবস্থান ছিল সংশয়পূর্ণ। তিনি কখও অপরাধ, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপোস করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না। বিজেপির সঙ্গেও কিছু ইস্যুতে মতভেদ রয়েছে। তবু বিজেপির হাত ধরতে হয়েছে। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকরও। লোকসভা ভোটেও তাঁদের জোট একসঙ্গে কাজ করবে।
নীতীশ-তোপে আরজেডি
এদিন আরজেডিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, আরজেডির কাজ করার পদ্ধতিতে তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। আরজেডি সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছিল। পুলিশকেও নির্দেশ দিচ্ছিল আরজেডি। তারপর যোগ হয়েছিল দুর্নীতি।
তেজস্বীর পাশে রাহুল
তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, রাহুল গান্ধী দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবেন। তাঁর পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু রাহুল দাঁড়ালেন তেজস্বীর পাশে। ২০১৫ সালের আসনরফায় আমার জন্য ৪০ আসনে লড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তা ভুলে গেলেন রাহুল। আরজেডি আরও কম আসন ছাড়ার পক্ষপাতী ছিল কংগ্রেসকে।
মানুষ জবাব দেবে
এবার মানুষ জবাব দেবে। লোকসভায় তাঁদের জোটই জিতবে বিহারে। লোকজনশক্তির রামবিলাসকেও পাশে পাওয়া গিয়েছে। বিহারে বিজেপি, জেডিইউ ও এলজেপি কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়বে। কংগ্রেস-আরজেডি-আরএলপির মহাজোটকে তাঁরা হারাবেনই। বিহারে মহাজোট কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।