বিজেপি সভাপতি এখন নেতা বেছে দিচ্ছেন শরিক দলের! বিস্ফোরক জোটসঙ্গী নীতীশ
২০১৯-এর যুদ্ধ জিততে নিজের দলের পাশাপাশি শরিকদেরও তৈরি রাখছেন বিজেপির ‘চাণক্য’। এতদিন পর তা নিজে মুখে স্বীকার করেছেন নীতীশ কুমার।
এখন এনডিএ শরিক দলেরও অভিভাবক হয়ে উঠছেন অমিত শাহ। নিজে দায়িত্ব নিয়ে বেছে দিচ্ছেন নেতা। কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাও ঠিক করে দিচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ২০১৯-এর যুদ্ধ জিততে নিজের দলের পাশাপাশি শরিকদেরও তৈরি রাখছেন বিজেপির 'চাণক্য'। এতদিন পর তা নিজে মুখে স্বীকার করেছেন নীতীশ কুমার।
অমিতের পরামর্শেই দলে প্রশান্ত
বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করে বর্তমানে এনডিএ শরিক জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বলেন, প্রশান্ত কিশোরকে তাঁর দলে কোনও পদ দেওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন খোদ অমিত শাহ। একাধিকবার তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে থেকে পরামর্শ পেয়েছিলেন।
দলে যোগ দিয়েই সহ সভাপতি
গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস ছেড়ে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইডেটে যোগ দেন প্রশান্ত কিশোর। এরপর তাঁকে দলের সহ সভাপতির পদ দেন নীতীশ কুমার। তারপর চারমাস কেটে গিয়েছে। এতদিনে তিনি প্রকাশ্যে আনলেন, প্রশান্ত কিশোরকে দলের শীর্ষস্তরে বসানোর নেপথ্যে প্রকৃত রহস্য কী ছিল।
কিশোর-কৌশলে মোদীর জয়
২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের পতন ঘটিয়ে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরই প্রশান্ত কিশোর লাইমলাইটে আসেন। নরেন্দ্র মোদীর প্রচার-পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তিনি। তাঁর কৌশল প্রয়োগ করেই বাজিমাত করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর বিজেপি ছেড়ে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন।
[আরও পড়ুন:২০১৯-এ অপেক্ষা করছে ভরাডুবি, দুর্নীতি খোঁচায় বিদ্ধ রাহুল-তেজস্বীকে বার্তা নীতীশের]
কংগ্রেস ছেড়ে জেডিইউ-তে
যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা বেশিদিন ছিল না। জেডিইউ মহাজোট ছাড়তেই নীতীশের সঙ্গী হন প্রশান্ত কিশোর। তাঁকে দলের সহ সভাপতি করে দেন। রাজনৈতিক মহল আকাশ থেকে পড়ে। কেন প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েই এত বড় পদ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।
[আরও পড়ুন:রাহুলই দায়ী মহাজোট ভেস্তে যাওয়ায়! বিজেপির সঙ্গে আসনরফার পর নীতীশ-ভাষ্যে জল্পনা]
|
তেজস্বীর টুইট কটাক্ষ
নীতীশ কুমারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সামনে আসতেই কটাক্ষ করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি টুইটে লেখেন- এতদিনে নীতীশ কুমার প্রমাণ করে দিলেন জেডিইউ বিজেপির আধুনিক সংস্করণ। তিনি নিজের পদটি ছাড়া দলের অন্যপদ পূরণে বিজেপি সভাপতির পরমর্শকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এই টুইটে তিনি আরও লেখেন- এই সব কারণেই বিহারে অপরাধ, গণপিটুনি বাড়ছে।