৭০ ছাড়াল ডিজেল, ৮০ ছাড়াল পেট্রোল! হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গড়কড়ি যা বললেন
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভর্তুকি দিয়ে পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করলে কেন্দ্রীয় সরকারে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে তার প্রভাব পড়বে।
বৃহস্পতিবারও নতুন করে বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। নতুন করে দেশে পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর দাবি আরও জোরদার হয়েছে। এসবের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে জবাবও এসেছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভর্তুকি দিয়ে পেট্রোপণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করলে কেন্দ্রীয় সরকারে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে তার প্রভাব পড়বে।
বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে লিটার পিছু পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ছিল যথাক্রমে ৭৭.৪৭ টাকা ও ৬৮.৫৩ টাকা। মুম্বইতে ৮৫.২৯ টাকা ও ৭২.৯৬ টাকা। কলকাতায় যথাক্রমে ৭১.০৮, ৮০.১২ টাকা। যে হারে প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে জ্বালানি তেলের মূল্য, তাতে সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ১০০ টাকা লিটারে পৌঁছে যাবে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। যা নিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ সাধারণের পকেট কেটে কোষাগার ভরাচ্ছে মোদী সরকার।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলের জেরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। তিনি বলেছেন, বিষয়টি বিশ্বের অর্থনীতিচর সঙ্গে জড়িত। যা কোনওভাবেই এড়ানো যায় না। যদি কেন্দ্রের তরফে তেলের মূল্য হ্রাস করা হয়, অর্থাৎ বেশি দামে কিনে কম দামে দেশে বিক্রি করা হয়, তাহলে দেশে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে তার প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে টাকার যোগান কমে যাবে।
প্রসঙ্গ ক্রমে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ আমলে তেলের মূল্য যখন বেড়েছিল, তখন আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে ছিল বিজেপি। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল পিছু তেলের মূল্য পৌঁছে গিয়েছিল ১৪০ ডলারে। সেই সময় দেশের বাজারে তেলের মূল্য ছিল ৭০ টাকা লিটার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য ব্যারেল পিছু ৮০ ডলার। কিন্তু দেশের বাজারে তেলের মূল্য ২০০৮ সালকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।