'সেনার সঙ্গে মধ্যস্থতায় রাজি, তবে মুখ্যমন্ত্রী হবে বিজেপির'
"মধ্যস্থতায় রাজি আছি। কিন্তু সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।" শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা করার আগে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নীতিন গড়কড়ি।
"মধ্যস্থতায় রাজি আছি। কিন্তু সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।" শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা করার আগে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নীতিন গড়কড়ি। পাশাপাশি শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে নীতিন গড়কড়ি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে ফিফটি ফিফটি ফর্মুলা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি শিবসেনার সঙ্গে।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিবসেনাকে পাল্টে বাল ঠাকরের বলা কথা স্মরণ করিয়ে খোঁচা দিলেন গড়কড়ি। তিনি বলেন, "ক্ষমতা বণ্টনের ক্ষেত্রে শিবসেনার সঙ্গে ফিফটি ফিফটি ফর্মুলা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এমনিতেও এক সময় বাল ঠাকরে নিজে বলেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী সেই দলেরই হওয়া উচিৎ যেই দলের বিধআয়ক সংখ্যা সব থেকে বেশি।" এর আগে এনসিপি নেতা রোহিত রাজেন্দ্র পাওয়ার বিজেপিকে খোঁচা মেরে মন্তব্য করেছিলেন, বালাসাহেব ঠাকরে যদি বেঁচে থাকতেন তবে মহারাষ্ট্রে এ জাতীয় পরিস্থিতি তৈরি হত না।
এদিকে প্রথমে মধ্য়স্থতার বিষয়ে মানা করলেও শেষ পর্যন্ত রাজ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ময়দানে নামেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী তথা আরএসএস ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নীতিন গড়কড়ি। আজ বিকেল নাগাদ সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। অবশ্য সম্ভাব্য এই বৈঠকের বিষয়ে সেনা শিবিরকে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, একমাত্র শর্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি-কে। আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়া আর কোনও কিছু নিয়ে আলোচনা হবে না। এদিকে গড়কড়ির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সেনা প্রধান উদ্ধাব শিবসেনার জেলা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
এর আগে শিবসেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা চান নীতিন গড়কড়ি ঝামেলা মেটানোর জন্য এগিয়ে আসুক। কেননা দুই দলই চায় দ্রুত নতুন সরকার গঠন করতে৷ কিন্তু অনড় অবস্থানে সরকার গঠন থমকে রয়েছে। তাই শিবসেনা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়। শিবসেনা বলে সরকার গঠন না হয়ে যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় তা মহারাষ্ট্রের জনগণের জন্য লজ্জাজনক হবে।