ছত্রপতি শিবাজির সঙ্গে এক আসনে গড়করি! রাজ্যপালের বিতর্কিত মন্তব্যে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী
ছত্রপতি শিবাজীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির। আর এরপরেই কার্যত ক্ষোভে ফসছে গোটা মহারাষ্ট্র। এমনকি এই ইস্যুতে শিন্ডে সরকারের চাপ বাড়িয়েছেন সরকারের এক মন্ত্রী। আর এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন কেন্দ্রী
ছত্রপতি শিবাজীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির। আর এরপরেই কার্যত ক্ষোভে ফসছে গোটা মহারাষ্ট্র। এমনকি এই ইস্যুতে শিন্ডে সরকারের চাপ বাড়িয়েছেন সরকারের এক মন্ত্রী। আর এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তাঁর দাবি, শিবাজী মহারাজ আমাদের ভগবান।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত দুদিন আগেই নীতিন গড়করির সঙ্গে শিবাজির তুলনা করে বসেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল। বলেন, শিবাজি মহারাজ আদর্শ তৈরি করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ভীমরাও অম্বেডকর। আর বর্তমান সময়ে নিতিন গডকরী বলে মন্তব্য করেন ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই ওরঙ্গাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল। আর সেখানেই মারাঠা ভুমের ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কথা বলছিলেন। আর তা বলতে গিয়েই এহেন বেফাঁস মন্তব্য রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির। আর এহেন মন্তব্যের পরেই সে রাজ্যে কার্যত ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে।
এমনকি এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেম শিন্ডের মন্ত্রিসভার সদস্য সঞ্জয় গায়কওয়াড়। তাঁর দাবি, অবিলম্বে রাজ্যপালকে মহারাষ্ট্র থেকে সরাতে হবে। শুধু তাই নয়, নীতিন গড়করির সঙ্গে মরাঠা জাতির প্রতিষ্ঠাতা শিবাজিকে এক আসনে বসিয়ে রাজ্যপাল অবমাননা করেছেন বলেও দাবি বিধায়কের। শুধু তাই নয়, মরাঠা জাতির এটি অপমান বলেও তোপ দেগেছেন সঞ্জয়।
যদিও এই অবস্থায় কিছুটা হলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এই প্রসঙ্গে বলেন, শিবাজি মহারাজ আমাদের মহারাজ। মনের মধ্যে থাকা মা এবং বাবা'র থেকেও বেশি নিষ্ঠা শিবাজি মহারাজের প্রতি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান ওই বিজেপি নেতা। তাঁদের জীবন আমাদের আদর্শ বলেও মন্তব্য তাঁর।
তবে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে কিছুটা হলেও কি ক্ষোভ-বিক্ষোভে মলম দেওয়া যাবে? তা অবশ্য সময়ের উপরেই ছেড়ে দিতে চান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে শিন্ডে মন্ত্রি সভাতে যেভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে তাতে বিজেপি শিবিরে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্র বিজেপি কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় সেদিকেই বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির এভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও রাজ্যপালের মন্তব্য তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। বলেন, গুজরাতি এবং মারওয়াড়ি সমাজ যদি মুম্বই ছেড়ে চলে যায় তাহলে দেশের আর্থিক রাজধানি আর থাকবে না মহারাষ্ট্র। গুজরাতি এবং মারওয়াড়িই সব বলে কার্যত ব্যাখ্যা করেন রাজ্যপাল।
আর এহেন মন্তব্যের পরেই চরম ক্ষুব্ধ হন সে রাজ্যের মানুষ। বিতর্ক চরমে পৌঁছে গেলে রীতিমত বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে হয় রাজ্যপালকে