মোদীর আমলে বেকারত্বের হার নিয়ে শোরগোল! নীতি আয়োগ বলছে অন্য কথা
দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি সামাল দিতে নামেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের রিপোর্টে দেখানো হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্বের হার ৬ শতাংশের বেশি, যা কিনা ৪৫ বছরে সর্বাধিক। রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায়। যদিও নীতি আয়োগ জানিয়েছে এটি খসড়া রিপোর্ট। এই দাবির প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশনের প্রাক্তন কার্যকরী চেয়ারম্যান পিসি মোহনানের দাবি, এটি ফাইনাল রিপোর্ট।
দেশে বেকারত্বের হার নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি সামাল দিতে নামেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তিনি দাবি করেন ২০১৮-র জুলাই থেকে ডিসেম্বর, দেশে কাজের সুযোগ-এর ওপর রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। সমীক্ষা রিপোর্ট মার্চ নাগাদ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশনের প্রাক্তন কার্যকরী চেয়ারম্যান পিসি মোহনান সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, এটি ফাইনাল রিপোর্ট। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশন এই রিপোর্ট অনুমোদন করেছে। এরপর আর কোনও সংস্থার এই রিপোর্টে অনুমোদন দেওয়ার নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। পিসি মোহনান জানিয়েছেন, সাধারণত এই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের পরে বিশ্লেষণও প্রকাশিত হয়।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৭২-৭৩ সালের পর থেকে ২০১৭-১৮-তে বেকারত্বের হার ছিল বেশি। শতাংশের নিরিখে যা ৬.১ শতাংশ। ২০১১-১২ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ-র সময়ে বেকারত্বের হার ছিল ২.২ শতাংশ। রিপোর্টে আরও প্রকাশিত হয়েছে, বেকারত্বের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায়ও বেশি ছিল। ২০১৬-র নভেম্বরের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে কর্মসংস্থান নিয়ে সরকারি সংগঠন প্রথম সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ২০১৭-র জুলাই থেকে ২০১৮-র জুনের মধ্যে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রিপোর্টের অনুমোদন কে দেবে, এই প্রশ্নের উত্তরে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানান, সম্ভবত মন্ত্রিসভা এর অনুমোদন দেবে। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি জানেন না। তাঁর দাবি ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশন থেকে যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা কেই তাঁর সঙ্গে (রাজীব কুমার) যোগাযোগ করেননি। ব্যক্তিগত কারণে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন বলেও জানিয়েছন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান।