জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ক্ষতিপূরণ সহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা! কোন বার্তা দিলেন সীতারমন
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বহুদিন ধরে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র, রাজ্য সংঘাত দেখছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলা ছাড়াও এই সংঘাত বহু রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে এই বৈঠকের তাৎপর্য আলাদা।
জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ও নির্মলা বার্তা
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন , জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জিসটি ক্ষতিপূরণ সহ একাধিক মতপার্থক্যের বিষয়ে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। তবে তিনি জানান, কোনও ইস্যুতেই কোন সংঘাত কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে নেই। মত পার্থক্য থাকলেও তা সংঘাত নয়। তিনি জানান ক্ষতিপূরণ নিয়ে বেশিরভাগ রাজ্য়ই সরকারের দেওয়া ৯৭ হাজার কোটির ধারের অপশানকে বেছে নিয়েছে।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে কোন অপশান দেওয়া হয়?
প্রসঙ্গত, জিএসটি নিয়ে আগে সরকার দুটি অপশান দিয়েছিল। সেখানে একটি স্পেশাল উইন্ডো থেকে ৯৭ হাজার কোটির ধার করার পরামর্শ ছিল। এক্ষেত্রে নিতে হবে আরবিআইয়ের পরামর্শ। অন্যটিকে ২.৩৫ লক্ষ টাকা রাজ্যগুলিকে আরবিআইয়ের থেকে ধার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাজ্য়গুলিকে এই দুটি অপশান দেয় কেন্দ্র।
কেন্দ্র রাজ্য সমন্বয়ের বার্তা
এদিন সীতারমন জানান, কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয় করেই জিএসটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হবে। বহু রাজ্যই ৫ বছর পর্যন্ত সেস-অর মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে রয়েছে। যে রাজ্যগুলি অই অপশানে ভর দিচ্ছে তাদের পাশে কেন্দ্র থাকবে। পাশাপাশি, টাকা ধার মানেই আর্থিক জটিলাবস্থা রয়েছে এমনটা নয়, বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও রাজ্যগুলির তরফে এলটিসি নিয়ে রাজ্যগুলিকেও তার কর্মচারীদের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেন নির্মলা সীতারমন।
আগে কী ঘটে?
এর আগে, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয় অর্থমন্ত্রক। রাজ্যগুলির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ১২ হাজার কোটি টাকার মূলধন ব্যয়ের জন্য রাজ্যগুলি ৫০ বছরের জন্য ঋণ নিলে কোনও সুদ লাগবে না। ১৫তম অর্থ কমিশন অনুসারে, উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যের মধ্যে প্রতিটি রাজ্য ২০০ কোটি টাকার ঋণ পাবে।