ভারতের বাজারে মন্দা আসবে না, লোকসভায় দৃপ্ত কণ্ঠে জানালেন নির্মলা সীতারামন
মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে অভয় দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সোমবার লোকসভায় তিনি সাফ জানালেন, ভারতে মন্দা বা ভারতের বাজার মন্দায় পড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।
মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে অভয় দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সোমবার লোকসভায় তিনি সাফ জানালেন, ভারতে মন্দা বা ভারতের বাজার মন্দায় পড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। ব্লুমবার্গ সমীক্ষার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতে মন্দার সম্ভাবনা শূন্য। মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংসদ অচল থাকার পর এদিন অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে অভয় দিয়েছেন দেশবাসীকে।
লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ভারতের অর্থনীতি বেশিরভাগে দেশের থেকে ভালো। এবং তা দ্রুত বর্ধনশীল। তাই আমাদের বাজারে মন্দা আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। অযথা বিরোধীরা এই ইস্যুতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি বলতে চাই যে ভারতের রাজনীতিতে স্ট্যাগফ্লেশন বা প্রযুক্তিগত মন্দায় পড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। ভারতের মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য।
নির্মলা সীতারামন আরও বলেন, মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে তথ্য-নির্ভর আলোচনার পরিবর্তে রাজনৈতিক বিষয়কেই বড় করে দেখা হচ্ছে এই ইস্যুতে। সেই বিষয়েই আলোচনা দাবি করা হচ্ছিল। বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে এই ইস্যুতে। ৩০ জন সাংসদ এদিন মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কথা বলেছেন। তাঁদের অধিকাংশই তথ্যনির্ভর বক্তব্য থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান থেকে বক্তব্য রেখেছেন।
অর্থমন্ত্রীর কথায়, আমি দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ইতিমধ্যেই দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছি। সরকার চেষ্টা করছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে রাখতে। আর দেশবাসী যে ধৈর্য দেখিয়েছে, তার জন্য আমরা জনগণকে সম্পূর্ণভাবে কৃতিত্ব দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে।
এদিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ইউপিএ সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতি নয়বার ডাবল ডিজিটে ছিল। ২২ মাস ধরে ইউপিএ সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে ছিল। আর আজ কংগ্রেস বড় বড় কথা বলছে। সংসদ মুলতুবি করে রাখতে বাধ্য করছে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে মুদ্রাস্ফীতির অভিযোগ তুলে।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা বিজেপির দাবি খর্ব করে জানিয়েছে, কেন্দ্র সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নিলে রান্নাঘরে লকডাউন দেখা যাবে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তগুলি দেশের ২৫ কোটি পরিবারকে আঘাত করেছে। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বিভাজনকে প্রশস্ত করেছে। ইউপিএ শাসনকালে ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে আনা হয়েছিল। আর ২০২১-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ২৩ কোটি মানুষ আবার দারিদ্র্য সীমার নীচে পৌঁছে গিয়েছে।