পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমলেই সন্তুষ্ট হবে সবাই, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার বার্তা অর্থমন্ত্রী নির্মলার
টানা ১২ দিন। লাগাতার দাম বেড়ে চলছে পেট্রোপণ্যের। আজ দিল্লিতে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৯০ টাকা ৫৮ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ৮০ টাকা ৯৭ পয়সা। রাজস্থানে ইতিমধ্যেই তেলের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। যে হারে পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের। এরই মধ্যে দেশবাসীকে কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন নির্মলা।
এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয়
আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয়। এখন জ্বালানির দাম কমানো ছাড়া আর কোনও উত্তরই কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির একসঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত, যাতে ক্রেতাদের জন্য তেলের দাম একটি ন্যায্য ও যুক্তিযুক্ত সীমার মধ্যে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।' তবে বিষয়টি যে তাঁর একার হাতে নেই, তাও জানিয়ে দেন নির্মলা সীতারমন।
রাজ্যেও ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল-ডিজেলের দাম
রাজ্যেও ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শুক্রবার কলকাতায় ডিজেলের দাম গিয়ে ঠেকেছিল ৮৪ টাকা ১৯ পয়সা প্রতি লিটারে। অন্যদিকে, পেট্রলের দাম ছিল ৯০ টাকা ২৪ পয়সা প্রতি লিটারে। ফলে, সাধারণ মানুষের উপর যেমন বোঝা বেড়েছে, তেমনই নাভিশ্বাস উঠছে বাস মালিকদেরও।
লকডাউনের একটা প্রভাব এখনও থেকে গিয়েছে
বাস ও মিনিবাস মালিকদের একাংশের মতে, লকডাউনের একটা প্রভাব এখনও থেকে গিয়েছে। অর্থাৎ যাত্রী সংখ্যা আর আগের মতো নেই। লকডাউনের পর থেকেই কমেছে যাত্রী সংখ্যা। কর্মীদের বেতন মেটানো সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তার উপর ক্রমাগত বাড়ছে জ্বালানির দাম। এই পরিস্থিতিতে বাস চালানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিনিবাস মালিকরা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের এই আশ্বাসবাণীতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বাস-মিনিবাস মালিকদের।