১৭০ পাতার ব্যক্তিগত ডায়েরি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে চায় নির্ভয়ার দোষী বিনয়
২২ জানুয়ারির বদলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী চারজনের। এদের মধ্যে ২৬ বছরের বিনয় শর্মা ফাঁসি থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন। শুক্রবারই বিনয় দিল্লি হাইকোর্টের কাছে তড়িঘড়ি আবেদন করেছে যে হাইকোর্ট যেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় যে দ্রুত তার ১৭০ পাতার ব্যক্তিগত ডায়রি তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। বিনয় তার আবেদনে জানিয়েছে যে সে তার ওই ডায়রি ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে পাঠাতে চায়।

প্রথমবার ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনে দ্রুত সিদ্ধান্ত
তবে মুকেশ সিংয়ের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা পাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা একটি নতুন মৃত্যুর পরোয়ানার প্রয়োজন করে দিল এবং ২২ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি এই চার আসামির ফাঁসি কার্যকর করাতে বাধ্য করল।

১৭০ পাতার ডায়রি
বিনয় শর্মার পক্ষে আইনজীবী এপি সিং জানান যে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন তৈরি রয়েছে। কিন্তু ২২ জানুয়ারি বিনয় শর্মা জানিয়েছে যে সে তার ১৭০ পাতার ব্যক্তিগত ডায়রি এই আবেদনের সঙ্গে দিতে চায়। আইনজীবী জানান যে বিনয় এ বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে কিন্তু তারা বিষয়টি গ্রাহ্য করেনি। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ আগে বিনয় শর্মার মেডিক্যাল রেকর্ড, সেলুলার কারাবাসের রেকর্ড, জেলে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করেছে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার রেকর্ড এবং বিনয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের রেকর্ডই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

সাতবছর পরও নির্ভয়ার পরিবার এখনও বিচারের আশায়
২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে ছ'জন। পুলিশ ছ'জনকে গ্রেফতার করলেও একজন জেলেই আত্মঘাতী হয় এবং অন্যজন জুভেনাইলে যায় ও তিনবছর পর ছাড়া পেয়ে যায়। ধর্ষিতা ছাত্রী সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান। আদালতে মামলার শুনানি চললেও, রায় দিতে সাত বছর সময় লেগে যায়। এই দেরি হওয়াতে নির্ভয়ার পরিবার মনে করছে এ দেশে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার কেবলমাত্র অভিযুক্তদেরই অধিকার রক্ষার জন্য দরকার নয়, বরং ভুক্তভোগীদেরও দরকার।
বিজেপির ভারতকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা, ইসলামফোবিয়া ব্যাখ্যায় তোপ অরুন্ধতীর