নির্ভয়ার দোষীরা জেলবন্দি অবস্থায় কত টাকা রোজগার করেছে! উঠছে নয়া তথ্য
২০১২ সালের নির্ভয়া গণধর্ষণের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৭ টা বছর। আর এই সময়টা গ্রেফতারির পর থেকেই দেলে ছিল ৪ ধর্ষক। এরপর ২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় এই ৪ ধর্ষককে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হয়। ২১২ সালে দিল্লির বুকে তরুণীর নারকীয় ধর্ষণের সাজা ও তাঁকে মৃত্যু মুকে পতিত করার দোষে দুষ্ট এই চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, জেলবন্দি অবস্থায় এরা কত টাকা রোজগার করেছে।
শেষ ইচ্ছা ও দোষী
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারির আগে যখন দোষীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছা কী , তখন দোষীরা কিছু জানাতে চায়নি। আশা ছিল যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের বাচাবেন তাদের পক্ষের আইনজীবী। তবে পরবর্তীকালে তারা নিজের ইচ্ছার কথা জানায়।
বিনয় নিজের হাতে আঁকা ছবি দিতে চেয়েছে..
তিহার জেল সূত্রের খবর, নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী বিনয় নিজের হাতে আঁকা ছবি জেলের সুপারিন্টেডেন্টকে দিতে চেয়েছিল। অন্যদিকে, লিখিতভাবে মুকেশ নিজের দেহদান করতে চেয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে, পবন ও অক্ষয় নিজেদের পরিবারকে কিছু দিতে চায়নি। শেষ ইচ্ছা নিয়েও কোনও মত প্রকাশ করেনি।
জেলবন্দি অবস্থায় রোজগার
জেলবন্দি অবস্থায় একাধিক কাজ জেলের মধ্যে করার জন্য কয়েদিদের নির্দিষ্ট কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। আর সেই নিয়মেই এই নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীরা রোজগার করে। যদিও মুকেশ সিং জানিয়ে দেয় যে , সে জেলে কোনও কাজ কবে না। তাই সে কোনও পারিশ্রমিক পায়নি।
জেলে বন্দি অবস্থায় কে কত টাকা আয় করেছে?
জেলে বন্দি অবস্থায় কাজ করে অক্ষয় ঠাকুর রোজগার করেছে ৬৯ হাজার টাকা। পবন গুপ্ত রোজগার করেছে ৩৯ হাজার টাকা। বিনয় শর্মার রোজগার ৩৯ হাজার টাকা। গত ৭ বছরের এই রোজগার মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।