বিচার ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে, নির্ভয়াকাণ্ডে আসামিদের আবেদনের বিরোধিতা করে বলল কেন্দ্র
বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে। নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের একের পর এক আবদেনের বিরোধিতা করে এমনই মন্তব্য করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছিল দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসির দিন। তবে নতুন করে ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দিল্লির এক আদালতে দ্বারস্থ হন সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী এপি সিং। এদিকে ফাঁসির নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে শুক্রবার। ৭ বছর আগে ঘটনাটি ঘটলেও এখনও সাজা কার্যক্র না হওয়ায় অশন্তোষ বেড়েছে সবার মধ্যে।
মরিয়া হচ্ছে সাজাপ্রাপ্তরা
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের নিদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই ফাঁসি পিছোনো বা এড়াতে আরও মরিয়া হয়ে উঠছে তারা। এই মরিয়া ভাব থেকেই ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকর না করে তা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে দিল্লির একটি আদালতের দ্বারস্থ হলেন চার সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী। এই বিষয়ে আইনজীবী এপি সিং দাবি করেন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬ বছর বয়সী বিনয় কুমার শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া হোক।
১ ফএব্রুয়ারি হবে না ফাঁসি!
যাবতীয় প্রশাসনিক ও আইনি অধ্যায় কাটিয়ে ঠিক হয়েছিল আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হবে নির্ভয়াকাণ্ডের ধর্ষকদের ফাঁসি। তবে এবার শোনা যাচ্ছে যে, সেই ফাঁসির দিন আরও পিছিয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যাবেলা বিনয় কুমার প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায়। রাষ্ট্রপতি সেই আবেদন যখনই নাকচ করবে তার থেকে ১৪ দিন পর ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব।
সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীর যুক্তি
এদিকে সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীর যুক্তি, দিল্লি কারাগার আইন অনুযায়ী একই দোষে সাজাপ্রাপ্তদের একই সঙ্গে ফাঁসি দিতে হয়। তাই যেহেতু বিনয়ের ফাঁসি পিছিয়ে যেতে চলেছে তাই বাকি সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসিও পিছিয়ে দিতে হবে। আর সেই মর্মেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এপি সিং।
আরও কত দিন চলবে আইনি প্রক্রিয়া!
এদিকে এখনও পর্যন্ত নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে অক্ষয় ও পবনের কাছে কিউরেটিভ আবেদন ও প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এদিকে, অক্ষয় নিজের পক্ষে কিউরেটিভ আবেদন রেখেছে সুপ্রিমকোর্টের কাছে। যার শুনানি আজ। তার পিটিশনে অক্ষয় বলেছে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে জনতার চাপে পড়ে। সেই মর্মে আদালত কোন রায় দেয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে সকলকে। এদিকে, নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী পবনের সামনে রয়েছে আরও একটি সুযোগ। সে এখনও কিউরেটিভ আবেদন রাখেনি মত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। এই আবেদনগুলি এক সঙ্গে না করে এক এক করে করায় ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে ফাঁসির দিন।